ময়মনসিংহের ফুলপুরে নূর আলম নামে বিকাশ প্রতারক চক্রের এক সদস্য ধরা পড়েছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে পৌর এলাকার আমুয়াকান্দা বাজার জামে মসজিদ রোডে জাবির মেডিসিন কর্ণার নামক এক ঔষধ ও বিকাশের দোকানে বিকাশ বইয়ের নাম্বারের পৃষ্ঠার ছবি তুলতে গিয়ে দোকান মালিকের কাছে সে ধরা পড়ে। আটক নূর আলম জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, নূর আলমসহ কয়েকজন মিলে বিকাশ এজেন্ট, মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের বড় দোকানগুলো টার্গেট করে ওই দোকানের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহের কাজ করে। বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের দোকানে গিয়ে ক্যাশ ইন ও ক্যাশ আউটের কথা বলে আলোচনার ফাকেঁ সুযোগ বুঝে বিকাশ বইয়ের নাম্বার গুলোর ছবি তুলে নেয়। পরে তা তার উপরের বসের হোয়াট অ্যাপস নাম্বারে পাঠিয়ে দেয়। প্রতি ছবি পাঠানোর জন্য সে পায় চারশত টাকা। তিন মাস হয়েছে সে এ কাজে যোগ দিয়েছে। তার পাঠানো ছবির বিকাশ নাম্বার গুলোতে তার উপরের বসেরা বিভিন্ন সময়ে কল দিয়ে উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার কথা ও বিভিন্ন পুরস্কার পাওয়ার কথা বলে ওই বিকাশ মালিকের কাছ থেকে প্রতারনা করে টাকা হাতিয়ে নেয়।
শনিবার দুপুরে নূরে আলম আমুয়াকান্দা বাজারের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী আবুল মুনসুরের দোকানে আসে। এ সময় মুনসুর তার দিকে কড়া নজর রাখেন। আটক কিশোর টাকা লেনদেন করার কথা বলে কয়েক ঘণ্টা ওই দোকানে বসে থাকে। এ সময় কথা বলার এক পর্যায়ে টাকা লেনদেন করার খাতা নিয়ে মোবাইলে ছবি তোলে। বিষয়টি সন্দেহ হলে সাথে সাথে বাজার ব্যবসায়ীদের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় সে প্রতারণার কথা স্বীকার করে। পরে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বেশ কয়েকটি চক্র এ কাজের সাথে জড়িত। সে প্রাথমিকভাবে পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আশা করি এ চক্রের মূল হোতাকে আইনের আওতায় আনা যাবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন