"বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" কে কটুক্তি করার, অভিযোগে নওগাঁর মান্দা উপজেলার মান্দা সদর ইউনিয়নের ঘাটকৈর বাজার থেকে শ্রী জয়দেব কুমার (২৪) নামে এক হিন্দু যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক জয়দেব কুমার উপজেলার বৈলশিং গ্রামের শ্রী দিপেন্দ্রনাথ চন্দ্রের ছেলে। বুধবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে "হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" এর জন্ম নিয়ে কটুক্তি করায় তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আটককৃত জয়দেব ঘাটকৈর বাজারে ঔষধের দোকানদার ও পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। ঘটনার দিন রাত ৯ টার দিকে তার বন্ধু ও কৈবারা গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে আতুল (২৮) কে বলেন, "হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" এর জন্ম তার পিতার মৃত্যুর অনেক পরে হয়েছে। এ হিসেবে তিনি ("হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম") হচ্ছেন একজন নাম-পরিচয়হীন জারজ সন্তান ; নাউজুবিল্লাহ। এ নিয়ে অতুল তার বন্ধু জয়দেবের সাথে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। এ কথাটি পরবর্তীতে আতুল বাজারের মধ্যে উপস্থিত মুসলমানদের জানালে সাথে সাথে এলাকার বিক্ষুব্ধ মুসলমানরা জয়দেবকে আটক করে রাখে। পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয়রা মান্দা থানায় অবহিত করলে ওসি, ওসি( তদন্ত) সহ থানা পুলিশের সব সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণপূর্বক জয়দেবকে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিরাপদে থানায় নিয়ে আসেন। ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে এ ঘটনায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশের হস্তক্ষেপে বড় কোন অঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সবকিছু স্বাভাবিক ও নিরাপদ ছিল। রাতের বেলা হওয়ায় কটুক্তির বিষয়টি প্রথমে ধামাচাপা দেবার আপ্রাণ অপচেষ্টা করা হলেও সকালে মানুষের মুখে মুখে তা গোটা মান্দা উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এতে মুসলিমরা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম নিয়ে এ ন্যক্কারজনক কটুক্তি এবং মানহানি ও চরম ধৃষ্টতার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আটক জয়দেব কুমারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান শাহিন "বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম" কে কটুক্তির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এ প্রতিবরদককে বলেন, এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে তিনি আরো জানান, কেউ বাদি না হওয়ায় আপাতত ৫৪ ধারায় মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন