ক দিন ধরে খুলনার তাপমাত্রা ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মাঝে উঠানামা করছিল। ভ্যাপসা গরমে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা হয়ে দাঁড়ায়। মাটির গভীরে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় নলকূপে উঠছিল না পানি। কৃষকরো জমিতে সেচ দিতে না পেরে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একটু বৃষ্টির জন্য মানুষ হাহাকার করছিল। কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিরা নামাজও আদায় করেছেন। এ অবস্থায় আজ সোমবার বিকালে হঠাৎই ধূলিঝড় শুরু হয়। তার পরপরই নামে মূষল ধারায় বৃষ্টি, সাথে বজ্রপাত। সূর্যতাপে চৌচির হয়ে যাওয়া মাঠ ঘাট প্রান্তর মূহুর্তেই সিক্ত হয়ে ওঠে। মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। এবার আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে খুলনায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ বৃষ্টি হয়েছে ভাদ্রের শুরুতে, দিন পনের আগে।
এদিকে, একই সময়ে খুলনার দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, তেরখাদাসহ ৯ উপজেলাতেই বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকের আমনের বীজতলার জন্য বৃষ্টি কল্যাণ বয়ে আনবে। আগাম শীতকালীন তরিতরকারীর ক্ষেতে পানির প্রয়োজন ছিল। এদিকে, দুপুরে জেলার কয়রায় বজ্রপাতে শহিদুল গাজী (৫৯) নামে একজন মৎস্যচাষী মারা গেছেন।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। আগামী দু তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন