বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রবিবার মধ্যেরাত থেকে বাতাস কিংবা দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। সোমবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও বাতাসের গতিবেগ ৫২ থেকে ১১০ নটিক্যাল মাইল রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে গতকাল রবিবার বিকেল থেকে যশোরে গুমট আবহাওয়া বিরাজ করে। সবত্র আকাশ ছিলো বেশ মেঘলা। যশোরে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। এদিকে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে কৃষকের আমনধানে সদ্য শীর্ষ বের হওয়া ধানগাছের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। অধিকাংশ মাঝে ধানগাছ জমিতে পড়ে গেছে। বৃষ্টি যদি দীর্ঘ হয় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
যশোর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুৃর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরো ঘনীভূত হয়ে বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্যোপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রবিবার দিনের একটি বড় অংশ সবত্র আকাশ মেঘলা ছিলো। পরে রবিবার রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়। মধ্যে রাত থেকে বাতাস কিংবা দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝারি থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অব্যহত রয়েছে। সোমবার রাতে বৃষ্টিও বাতাসের গতিবেগ বাড়তে পারে। এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া মঙ্গলবারও বিরাজ করবে। বাতাসের গতিবেগও বাড়বে। বুধবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস তারা।
এদিকে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সরসকাঠি গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান বলেন, মাঠে আমন ধানের শীষে পরিপূর্ণ হচ্ছে। এমন সময়ে ঝড়ে ধান গাছগুলো সব জমিতে পড়ে যাচ্ছে। এর ফলে ধানের সঠিক ফলন না হওয়ার শঙ্কায় রয়েছি। শেষ সময়ে এসে ধানের জন্য এই ঝড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ালো। এই বৃষ্টি যদি অব্যাহত থাকে ধানের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন বলেন এই কৃষক। যশোরের সবজি জোন নামে খ্যাত সদরের চুড়ামনকাটি গ্রাম। এই গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন জানান, বৃষ্টিতে তেমন ক্ষতি হবে না সবজি চাষে। বৃষ্টি আর্শিবাদ মনে করছি। তবে ঝড় সব সময়ই কৃষকদের ভোগান্তি ও ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মঞ্জরুল হক বলেন, ‘এই বৃষ্টি তেমন ক্ষতির কারণ হবে না। তবে ঝড়ের আঘাত আনলে অনেকেটাই ক্ষতি হতে পারে। এখন পর্যন্ত আমনধানের ক্ষতি হওয়ার কোন তথ্য আমরা পায়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন