গত জুলাইয়ে আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ৪০ বিলিয়নের নিচে নেমে আসে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ। আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিকারী সংস্থা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসল। গতকাল বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই-আগস্ট মেয়াদের ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার আমদানির বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
আকুর বিল পরিশোদের পর রিজার্ভ কমে আসে এমনটা জানিয়ে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ প্রতিবারই কিছুটা কমে আসে। এবারও তাই হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমদানি কমছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বাড়ছে। এখন আর আমাদের রিজার্ভ কমবে না। বাড়তেই থাকবে।’ বাজারের চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির কারণে এই সূচক কমেছে বলে জানান সিরাজুল ইসলাম।
এর আগে, ২০২০ সালের ২৯ জুলাই রিজার্ভ ৩৭ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে ৩৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। পরে তা গতবছরের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
গত ১২ জুলাই আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় রিজার্ভ কমতে কমতে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। দুইমাসের মধ্যে তা আরও কমে ৩৭ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে সাড়ে ৪ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বর্তমানে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দায় পরিশোধের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করায় সাধারণত মধ্যরাতের পরেই বিলের অর্থ কেটে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক পরদিন সেটা রিজার্ভ থেকে বাদ দেয়।
এর আগে, মার্চ-এপ্রিল মেয়াদে আকুর ২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তার আগে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মেয়াদে পরিশোধ করা হয়েছিল ২ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন