ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ২ নং কোষারানীগঞ্জ ইউনিয়নের চোপড়া বাড়ী নদীর ঘাট থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে এলাকার পরিবেশ দুষণ, নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকি , অসহনীয় শব্দ দূষণ, গ্রামের রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলাচলে এলাকাবাসীর যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগে জানাযায়, বালু ব্যবসায়ীরা চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী, বালু উত্তোলনে বাধা প্রদান করলে বালু দুষ্কৃতকারীরা এলাকাবাসীকে জানায় সরকার থেকে তাদের লিজ দিয়েছে, বাধা প্রদান করলে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেন।
গতকাল শনিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী শালগড়া গ্রামের নুর ইসলাম সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত নদী থেকে বালু প্রতি গাড়ী দেড়শত থেকে দুইশ টাকা করে বিক্রি করেন। আর প্রতি গাড়ী থেকে বালু বিক্রির টাকা নিচ্ছেন তার ছেলে ফজলে রাব্বী। ফজলে রাব্বী জানায় বালু আমার বাবা বিক্রি করছেন আমি শুধু টাকা নেই গাড়ীগুলো থেকে, এটা সরকারি না মালিকানা আমি জানি না তবে নদীর পাশের জমি গুলি আমাদের দখলে আছে।
চোপড়া বাড়ী এলাকার ইউপি সদস্য রাজকুমার জানান, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাশে থাকা শ্মশান কালী মন্দির ও শ্মশান ঘাটের রাস্তাটি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, একাবাসী এ বিষয়ে আমাকে অভিযোগ দিয়েছেন। বালু উত্তোলনকারী নদীর ওপারে বাড়ী হওয়ায় বিষয়টি আমি নদীর ওই পারের ইউপি সদস্য নবাবকে বলেছি। তিনি আরও বলেন, বালু উত্তোলনের কারনে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী ও চোপড়া বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকরা। বিদ্যালয়টির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়ক দিয়েই প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বালু বোঝাই ট্রাক গুলি, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় বিদ্যালয় মাঠে খেলাধুলো করতে ভয় পাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। বালুর ট্রলি চলাচলের কারণে দূর্ঘটনার আশংকা মনে করছেন ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা। বালুর ট্রলির বিকট শব্দে কারণে ঠিকমতো বিদ্যালয়ের ক্লাস করতে পারছেনা ছাত্র-ছাত্রীরা।
বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানিয়েছি এখনও কোন ব্যাবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি। চোপড়া বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জগদীস চক্রবর্তী জানান, আমরা বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। বালুর ট্রলি চলাচলের কারণে এবং শব্দ দুষণ হওয়ায়, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায়, শিক্ষার্থীরা বর্তমানে মাঠে খেলাধুলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন অভিযোগ টি এসিল্যান্ড কে দেখতে বলেছিলাম,এসিল্যান্ড এর হঠাৎ বদলী হওয়ায় জনবল সংকটের কারনে বিষয়টি বিলম্ব হয়েছে। আমি সরজমিনে গিয়ে ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন