নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এত দুই সহযোগীসহ ৩ ধর্ষককে আটক করেছে নাটোর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটলে ধর্ষণের শিকার কিশোরী রাতেই নাটোর সদর থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগ দেয়ার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে এবং বুধবার সকালেই ধর্ষক ও তাদের সহযোগীদের আটক করে। আটককৃত ধর্ষকরা হলেন শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান। এছাড়া ধর্ষকদের সহযোগীতার অভিযোগে মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীনকেও আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আবির (২১) নামের এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরিক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন। তারা স্থানীয় বন্ধুর পরামর্শে শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার বাড়িতে মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির ভাড়া করা ইউনিটে রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে উঠেন। পরে এই দম্পতি ধর্ষক রনি, রকি ও সোহানকে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় তারা দলবদ্ধভাবে ঐ ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবে বলেও ভয় দেখায়। পরবর্তীতে ছাড়া পেয়ে ধর্ষিতা কিশোরী তার প্রেমিককে নিয়ে রাত ১ টার দিকে নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযানে নামে পুলিশ। সারারাত অভিযান শেষে বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করে পুলিশ। এছাড়া মঙ্গলবার রাতেই মিথিলা ও মৃদুল কে শহরের হাফরাস্তা থেকে আটক করা হয়।
নাটোর সদর থানার এস আই জামাল উদ্দীন জানান, আমরা ধর্ষিতার অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযানে নামি। ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন