যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের আশপাশে বুধবার ছিল হাজারো মানুষের ভিড়। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন সেখান থেকে ওয়েস্টমিনিস্টার হলে নেওয়ার সময় হাজারো মানুষ সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রানিকে শেষশ্রদ্ধা জানায়। খবর সিএনএনের।
শোকযাত্রায় ছিলেন রানির নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি। তাদের সঙ্গে ছিলেন নতুন রাজা তৃতীয় চার্লসও।
কিন্তু এ শবযাত্রায় বাবার সঙ্গে প্রিন্স উইলিয়াম সামরিক পোশাক পড়লেও সাধারণ পোশাকে ছিলেন ছোট ভাই হ্যারি।
কারণ তিনি ২০২০ সালেই সস্ত্রীক রাজকীয় উপাধী ত্যাগ করার আবেদন করেছিলেন রানির কাছে। পরে তা গৃহীত হয়।
এর পর থেকেই ব্রিটেনের রাজকীয় কোন অনুষ্ঠানে তাকে আর রাজ পরিবারের পোশাকে দেখা যায় না। দাদির শবযাত্রায়ও তাই হ্যারি সাধারণ পোশাকে যোগ দেন।
প্রিন্স হ্যারি ও তার মার্কিন স্ত্রী মেগান মার্কেল কখনো ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়িত্ব পালন করবেন না বলে এক বছর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তারা তাদের রাজকীয় দায়িত্ব থেকে স্থায়ীভাবে সরে গেছেন বলে বাকিংহ্যাম প্যালেস জানিয়েছিল।
এর পর থেকে এ দম্পতি রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস শুরু করেন।
দাদির মরদেহ দেখতে এসে দীর্ঘদিন পর দুই ভাইয়ের দেখা হলো। ১৯৯৭ সালে মা প্রিন্স ডায়ানার মৃত্যুর পর থেকে দুই ভাই ছিলেন পরস্পরের বন্ধুর মতো।
কিন্তু ২০১৮ সালে মার্কিন অভিনেত্রীকে হ্যারির বিয়ের পর তাদের মধ্যে দূরত্বের খবর প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে।
প্রিন্স হ্যারি ও তার মার্কিন স্ত্রী মেগান মার্কেল প্রায় ৭ মাস আগে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পর থেকে দুই ভাইয়ের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন