শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাজশাহীর তানোরে সার ব্যবসায়ীকে অবশেষে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

গোদাগাড়ী ( রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৫২ পিএম

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় চোরাই পথে বালাইনাশকের দোকানে এক ট্রাক ডিএপি সার নামিয়েছেন জসিম উদ্দিন। এ ঘটনায় কৃষি অফিসারের নানা নাটকীয়তা ও তদবিরের পর অবশেষে মাত্র ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত । এ যেন গুরুতর অপরাধে লঘুদন্ড। বিষয়টি তানোরের টক অফ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।

১৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরের পরে তানোর পৌর এলাকার ধানতৈড় মোড়ে জসিম উদ্দিনের দোকানে জরিমানা করা হয়।ঘতবে একট্রাক ডিএপি সারের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন নির্বাহী মেজিষ্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ। ফলে এমন জরিমানার ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে কৃষকদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কারন জসিম পটাশ সংকটের সময় তার বাড়িতে কয়েক হাজার বস্তা রেখে রাতের আধারে পাচার করেন এলাকাবাসি জানিয়েছেন।


জানা গেছে, চলতি মাসের ১৮ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তানোর চাপড়া রাস্তার ধানতৈড় মোড়ে একট্রাক ডিএপি সার নামান বালাইনাশক ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন।
রোববার গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকার ধানতৈড় মোড়ে রয়েছে জসিম উদ্দিনে বালাইনাশক ও ওয়ার্ড সাব ডিলারের দোকান। ট্রাক থামিয়ে সরাসরি সার নামাচ্ছেন কর্মচারীরা। সেখানেই ছিলেন উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী জসিম, তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কার সার এবং ট্রাকে করে নামানো যায় কিনা তিনি জানান, আমি নোয়াপাড়া মোল্লা ট্রেডার্স থেকে কিনেছি। সেখানে টাকা থাকলে সারের ওভাব নেই। আপনি এভাবে সার আনতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি দম্ভক্তি করেই বলেন আমি তো চুরি করছিনা। টাকা দিয়েই আনছি। বিসিআইসির সার ডিলাররা চাহিদামত সার দিতে পারেনা।

এ ব্যপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথকে অবহিত করা হলে তিনি জানতে চান সারগুলো কার কিংবা কোথায় থেকে এসেছে, ইউএনওকে জানানো হয় নোয়াপাড়া মোল্লা ট্রেডার্স থেকে। ইউএনও একটু পর জানান মোল্লা ট্রেডার্সের সার না, আমি কথা বলেছি, আর এখন রাজশাহীতে মিটিংয়ে আছি সোমবারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার দুপুরের আগে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে আছি। কৃষি অফিসারকে জানানো হয়েছে ।


কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহকে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় ডিডিকে মোবাইলে জানানো হয় বালাইনাশকে এক ট্রাক ডিএপি সার নামাতে পারে কিনা এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা ও পাচন্দর ইউনিয়নের বিসিআইসির ডিলার প্রনব সাহার সমস্যা হবে একথা বলছে কৃষি অফিসার বলতে পারে কিনা তিনি জানান কৃষি অফিসারের একথা বলার কোন অধিকার নেই, আমি কথা বলে ব্যবস্থা নিতে বলছি। একটু পরেই কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ সরকারী গাড়ী নিয়ে জসিমের দোকানে এসে ভটভটিতে করে সার পাচার ধরে ফেললেও দোকানে ঘন্টাব্যাপী চলে রফাদফা। ছিলেন বিসিআইসির ডিলার প্রনব সাহা, তিনি জানান এসব আমার সার, আপনি এখানে কিভাবে নামালেন জানতে চাইলে তিনি জানান, এক ট্রাক নামিয়েছি সেটা কৃষি অফিসার জানে, তাহলে জরিমানা হল কেন প্রশ্ন করা হলে এসব অভ্যান্তরীন ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান।

এরআগে আপনার কয়েক হাজার বস্তা পটাশ সার জসিম পাচার করেছে জানতে চাইলে অকপটে স্বীকার করেন তিনি। নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, ১৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়েছে, সারের কাগজপত্র যাচাই বাছাই চলছে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি উপজেলায় সার ও বালাইনাশক ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা করে নীতিমালা অনুযায়ী এবং যার যেখানে ডিলার পয়েন্ট সেখানে সার নামাতে কঠোর নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন