সুনামগঞ্জের ছাতকে বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে শাহ জামাল (৩৮) নামের আহত এক বিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ১২দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার রাতে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছাতক বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অস্থায়ী শ্রমিক ও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর-গনেশপুর গ্রামের আমিন উদ্দিনের পুত্র।
জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে শহরের সুরমা নদীর তীরবর্তী চৈকিত্তারটুক এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন শাহ জামাল। এ সময় বৈদ্যুতিক শটে শরীরের অধিকাংশ অংশ তাঁর পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই এলাকায় ১১ কেভির লাইনের একটি ট্রান্সফরমারে ফিউজ লাগাতে খুঁটিতে উঠেন শাহ জামাল। লাইনে কাজ করা অবস্থায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করে দেয়ায় বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি খুঁটি থেকে ছিঁটকে নিচে পড়ে মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে ভর্তি করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে। এখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে পরে তাকে ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই হাসপাতালে ১২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার রাতে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
এদিকে, গত ২৯ আগষ্ট একইভাবে ছাতক পৌর শহরের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া (৪০) নামের আরেক বেসরকারী বিদ্যুৎ শ্রমিক বিদ্যুতায়িত হয়ে গুরুতর আহত হন। ওই শ্রমিক এখনো সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কৈতক এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের একটি ট্রান্সফরমারে মেরামত কাজ করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হন।
এভাবে এখানে একের পর এক বেসরকারী বিদ্যুৎ শ্রমিক দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ি করছেন সাধারন মানুষ। তাদের গাফিলতির কারণে শাহজামালের মৃত্যু হয়েছে। আহত অবস্থায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছেন শাহজাহান মিয়া (৪০) নামের আরেক বিদ্যুৎ শ্রমিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন