রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৩ নং ফেরি ঘাট এলাকা সিদ্দিক কাজী পাড়ায়
ভোর রাতে হঠাৎ করে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদী পাড়ে বসবাসরত ৬ টি পরিবারের ঘরবাড়ী নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। চরম ভাবে ভাঙন ঝঁকিতে রয়েছে লঞ্চ ও ফেরি ঘাট।
সরেজমিনে জানা গেছে, হঠাৎ করে ৩ নং ফেরি ঘাট এলাকা সিদ্দিক কাজী পাড়ায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে এতে নদী পাড়ে বসবাসরত ৬ টি পরিবারের ঘরবাড়ী নদীতে বিলিন হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ী নদীতে বিলিন হয়েছে তারা হলো রহিম, একেন, ছালাম বেপারি, মক্কাই, হান্নান, আকিম,এতে করে নদী পাড়ে বসবাস করা অন্য পরিবার গুলোর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। চরম ভাবে ভাঙন ঝঁকিতে রয়েছে ফেরি ঘাট ও লঞ্চ ঘাট। ভাঙন রোধে যে সকল জিও ব্যাগ ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে সে সকল সামগ্রী নিম্নমানের। নদী ভাঙন স্থানে ডাম্পিং করে জিওব্যাগ না ফেলা হলে এতে কোন কাজ হবে না। শুধু লোক দেখানোর কাজ হচ্ছে নদী ভাঙন রোধে। নদী পাড়ের মানুষের একটাই দাবি নদীতে জিওব্যাগ গুলো ডাম্পিং করে ফেলা হলে নদী ভাঙন রোধ হবে।
নদী পাড়ের বাসিন্দা নুরু কাজী বলেন, আমার বাড়ী নদীতে দু বার বিলিন হয়েছে। এখন আবার নদী পাড়ে পড়ে গেছি কখন যেনো নদী গর্ভে চলে যায় আমার বসত ভিটা বাড়ী। সব সময় আতংকে থাকতে হয়। নদী ভাঙন রোধে যে সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিম্নমানের। এতে নদী ভাঙন রোধ হবে না। নদীতে জিওব্যাগ না ফেলে নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হচ্ছে তাতে কি হবে। স্রোতে নদী ভাঙছে পানির নিচ থেকে আর জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে নদীর পাড়ের কিছুন দিন পরে স্রোতে নিচ থেকে মাটি ধসে যাচ্ছে সেই জিওব্যাগও নদীতে চলে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন জিওব্যাগ গুলোতে যে পরিমান বালু ডুকানোর কথা সে ডুকানো হচ্ছে না।
শারমিন আক্তার বলেন, আমরা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমি পড়েছি। হঠাৎ করে ঘরে পিছনে নদীর চাপ ভাঙার শব্দ কানে আসে তখন উঠে গিয়ে দেখছি বিশাল বিশাল চাপনদীতে চলে যাচ্ছে। তখন আমারা চিৎকার করতে থাকি আমাদের চিৎকারে এলাকা মানুষেরা এগিয়ে আসে। তখন আনুমানিক রাত ৩ টার মত হবে।
এলাকার সবার সহযোগিতায় আমাদের ঘর গুলো কোন রকম সরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু বাড়ীর হাঁস মুরগী গাছ পালা এগুলো নদী গর্ভে চলে যায়। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দবি স্থায়ী ভাবে নদী শাসন চাই।
বিআইডাব্লিউটিএ নিবার্হী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, ভোর রাতে হঠাৎ নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেহেতু নদী ভাঙন একটি ন্যাচারাল দূযোর্গ। নদী ভাঙন প্রতিরোধ করতে পারবো না। তারপরও আমরা দ্রুত যতটুকু পারা যায় আমাদের স্বার্থে মধ্যে রেখে আমরা প্রতিরোধ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন