শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

‘মেডিক্যাল ডিডাইস গাইডলাইন-২০১৫ জনস্বার্থবিরোধী বাতিল দাবি’

| প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মেডিক্যাল ডিভাইস গাইডলাইন-২০১৫-কে জনস্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ইন্সট্রুম্যান্টস অ্যান্ড হসপিটাল ইকুইপম্যান্ট ডিলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল ডিভাইস দেখভালের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা অধিদপ্তর করারও দাবি জানান তারা। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি দেন তারা। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি ও হুমকি দেন তারা। বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এসোসিয়েশনের ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি জাভেদ আহমেদ। বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই পরিচালক আবু মোতালেব, এসোসিয়েশনের সভাপতি শরিফ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বণিক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলাম, বিএমএ ভবন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি শামছুল হুদা, বাংলাদেশ কার্ডিও ভাসকুলার ইকুইপমেন্ট এন্ড ডিভাইস ইমপোর্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী এ কে শাহীন প্রমুখ।
নেতারা অভিযোগ করেন অতি সম্প্রতি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই খাতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সাথে কোনো রকম আলাপ-আলোচনা এবং কোনো আইনগত ভিত্তি ছাড়াই এই গাইড লাইন তৈরি করেছে এবং তা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। আগে নয় ধরনের মেডিক্যাল ডিভাইস দেখভাল করত ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এই গাইডলাইনে প্রায় চার হাজারেরও বেশি পণ্য আওতাভুক্ত করা হয়েছে। এগুলোর রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়। রেজিস্ট্রেশনবিহীন কোনো পণ্য যাতে বন্দর থেকে খালাস করতে না পারে সেজন্য গত ১৩ নভেম্বর শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক। এতে দেশের সবগুলো বন্দরে মেডিক্যাল ডিভাইস, পরীক্ষা-নিরীক্ষার রি-এজেন্ট ও সার্জিক্যাল পণ্য আটকে গেছে এবং তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তারা বলছেন, এই গাইডলাইন বাস্তবায়িত হলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় চরম সংকট দেখা দেবে। এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। আবু মোতালেব বলেন, ব্যবসায়ীরা মাঠে নামছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অসাধু একটি চক্রের মদদে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ব্যবসায়ীদের ওপর চড়াও হচ্ছে। ওষুধ এবং মেডিক্যাল ডিভাইস আমদানিতে আলাদা নীতিমালা করার দাবি করেন তিনি।
শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমদানিতে অনুমোদন থাকলেও জেএমআই কোম্পানির স্বার্থ রক্ষার্থে এসব মেডিক্যাল ডিভাইস দেশে আনতে দিচ্ছে না। এছাড়া সম্প্রতি অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া কোনো মেডিক্যাল ডিভাইস আমদানি করা যাবে না বলেও দেশের সবগুলো বন্দরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা অনুমোদিত পণ্যও অমদানি করতে পারছে না। ফলে তারা আন্দোলনের পথ বেছে নিচ্ছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, এসব পণ্য বন্দর থেকে ছাড় করাতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘট পালন করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন