তুরস্কের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও সামরিক শক্তি বৃদ্ধির হুমকি দিয়েছে গ্রিস। লিবিয়ার বিভক্ত সরকারের একটি অংশের সঙ্গে সম্প্রতি তুরস্কের জ্বালানি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর এমন হুমকি দিল গ্রিস।
ভয়েস অব আমেরিকার খবরে বলা হয়েছে, দুই ন্যাটো সদস্যের মদ্যে দ্বন্দ্ব মেটার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বেড়েই চলেছে উত্তেজনা। এটি এমন একটি সংকটের আশঙ্কা তৈরি করছে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে ন্যাটোকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
গ্রিসের সংসদে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস তুরস্ককে যুক্তির রাজ্যে ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। অন্যথায় তিনি আঙ্কারার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন এবং গ্রিস যে অঞ্চলগুলোকে নিজের বলে মনে করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ দাবি করার তুরস্ক যে পরিকল্পনা করছে তা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন।
গ্রিসের নেতা বলেন, ভূগোল পরিবর্তন বা বিকৃত করার সিদ্ধান্ত কারো নির্দেশে পরিবর্তন হয় না। গ্রিসের সীমানা তার নিজস্ব এবং তারা তাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের শক্তিশালী কূটনৈতিক মিত্রদের দ্বারা এই সীমানা রক্ষা করতে প্রস্তুত।
গ্রিস এবং তুরস্ক দীর্ঘদিনের শত্রু কিন্তু উভয়ই ন্যাটো সদস্য। দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক কয়েক দশক ধরে পর্যায়ক্রমে শীতল এবং উষ্ণ হয়েছে।
এজিয়ান সাগরে তুরস্কের সীমান্তের নিকটবর্তী দুটি দ্বীপ লেসবোস এবং সামোসে গ্রিস সেনা মোতায়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনাকে উত্সাহিত করার পরই তুরস্ক লিবিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে। আঙ্কারা লেসবোস এবং সামোস দ্বীপপুঞ্জে সামরিক স্থাপনাকে দুই দেশের সীমানা চিহ্নিত করে কয়েক দশকের পুরনো চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এজিয়ানের বেশ কয়েকটি দ্বীপের গ্রীক মালিকানার নিন্দা করেছেন।
বিশ্লেষক জর্জ জোগোপোলোস বলেন, এই ক্রমবর্ধমান সংকট ন্যাটো জোটের জন্য আরও বিস্তৃত প্রতিক্রিয়া বয়ে আনতে পারে এবং জোটের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ রাশিয়া এটিকে কাজে লাগাতে পারে।
তিনি বলেন, 'যদি তুরস্কের এই আচরণ অব্যাহত থাকে, তাহলে ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব দিকের সংহতি বিপন্ন হবে, মস্কোতে এই সংবাদকে স্বাগত জানানো হবে।'
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন