দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৩ জন নিহতের ঘটনায় গ্রিসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের অনেকে মনে করেন এটি এমন এক দুর্ঘটনা যা ঘটার জন্য অপেক্ষা করা হয়েছিল।
বিক্ষোভকারীরা দেশটির রাজধানী এথেন্সের বেসরকারি ট্রেন কোম্পানি হেলেনিক ট্রেনের সদর দপ্তরের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই কোম্পানিটি দেশটির রেলওয়ে ব্যবস্থাপনা দেখভাল করে থাকে। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।
এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা লরিসা শহরের দুর্ঘটনাস্থল থেসালোনিকিতে জড়ো হয়েও বিক্ষোভ করছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থেসালোনিকিতেই এ দুর্ঘটনা ঘটে। সরকার বলছে, একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি এ দুর্ঘটনার তদন্ত করবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে সরকার।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী অপর একটি ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পর যাত্রীবাহী ট্রেনটির সামনের দিকের কয়েকটি বগিতে আগুন ধরে যায় এবং প্রায় পুরোপুরি ধবংস হয়ে যায়।
যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে ৩৫০ যাত্রী ছিলেন। অধিকাংশ যাত্রীই ২০ বা এর আশপাশ বয়সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা ধর্মীয় এক ছুটি শেষে থেসালোনিকিতে ফিরছিলেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কায়রাকোস মিতসোতাকিস বলেছেন, মানুষের ভুলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী কোস্টাস কারামানলিস পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর তিনি মনে করছেন পদত্যাগ করা তার কতর্ব্য।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, গত বছর কিছু নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশে ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন