রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সোনারবার কয়েন ম্যাগনেটিক পিলার প্রতারণা

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে ১১ কোটি টাকা আত্বসাৎ করেছে চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ৩:৪১ পিএম

নকল সোনার বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন এবং ভুয়া কাস্টমস্ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার করে এমন একটি প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ।

পুলিশ বলছে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা একেক জন একেক চরিত্রে অভিনয় করতো। ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও সোনারবার সরবরাহ করার কথা বলে কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে ১১ কোটি টাকা আত্বসাৎ করেছে এ প্রতারক চক্র।

গ্রেপ্তাররা হলো মো. বশার মোল্লা, শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু, দ্বীন মোহাম্মদ, মো. জুয়েল শিকদার, কথিত ড. মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ, শেখ আলী আকবর, মো. জামাল ফারাজী, মো. সোহেল শিকদার, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. শাহরিয়ার ইকবাল।


রোববার বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিম।


এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল ৪টি সোনার বার, সোনার বার তৈরীর মেশিন, তামার তার, তার গলানোর ক্যামিক্যাল, হিউম্যান রাইটসের নকল আইডি কার্ড এবং সিভিল এভিয়েশনের নকল আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায়।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, ভাটারা থানার একটি প্রতারণা মামলার তদন্তে একজন মহিলা ভিকটিমের সন্ধান পাওয়া যায়। যিনি গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে পুরো টাকা প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ভাটারা থানা এই মামলাসহ বিমানবন্দর থানার অপর একটি প্রতারণার মামলা তদন্তকালে এজাহার ভুক্ত আসামী ও প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বশার মোল্লা নিজেকে কাস্টমস ডাইরেক্টরের এপিএস হিসাবে পরিচয় দিয়ে কম দামে স্বর্ণের বার কিনে দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। গ্রেপ্তার শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু নিজেকে কাস্টমস ডাইরেক্টর এ্যাডমিন হিসাবে ক্রেতার সাথে দেখা করে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। গ্রেপ্তার দ্বীন মোহাম্মদ ও জুয়েল শিকদার স্বর্ণকার হিসাবে নকল সোনারবার তৈরী করে।

এছাড়াও গ্রেপ্তার কথিত ড. মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ নিজেকে কেমিস্ট ও পরমাণু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দেয়। গ্রেপ্তা আকবর নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসাবে পরিচয় দেয়। গ্রেপ্তার জামাল ফারাজী, সোহেল শিকদার, বিল্লাল হোসেন এবং শাহরিয়ার ইকবাল ক্রেতা যোগাড় করে কথিত পরমাণু বিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে তারা ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও সোনারবার পরীক্ষা করে সঠিক আছে বলে ভুয়া রির্পোট দিতো।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানা, দক্ষিণখান থানা, উত্তরা-পূর্ব থানা, কাশিমপুর থানা ও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।

কেউ যদি কখনো সোনার বার, ম্যাগনেটিক পিলার কিংবা মূল্যবান কয়েন বিক্রির প্রস্তাব দেয় তাহলে সে প্রস্তাবে রাজি না হয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে অবগত করার আহবান জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।সোনারবার কয়েন ম্যাগনেটিক পিলার প্রতারণা

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে ১১ কোটি টাকা আত্বসাৎ করেছে চক্রটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নকল সোনার বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন এবং ভুয়া কাস্টমস্ কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার করে এমন একটি প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ।

পুলিশ বলছে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা একেক জন একেক চরিত্রে অভিনয় করতো। ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও সোনারবার সরবরাহ করার কথা বলে কৌশলে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে ১১ কোটি টাকা আত্বসাৎ করেছে এ প্রতারক চক্র।

গ্রেপ্তাররা হলো মো. বশার মোল্লা, শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু, দ্বীন মোহাম্মদ, মো. জুয়েল শিকদার, কথিত ড. মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ, শেখ আলী আকবর, মো. জামাল ফারাজী, মো. সোহেল শিকদার, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. শাহরিয়ার ইকবাল।


রোববার বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিম।


এ সময় তাদের কাছ থেকে নকল ৪টি সোনার বার, সোনার বার তৈরীর মেশিন, তামার তার, তার গলানোর ক্যামিক্যাল, হিউম্যান রাইটসের নকল আইডি কার্ড এবং সিভিল এভিয়েশনের নকল আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

সোমবার দুপুরে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায়।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, ভাটারা থানার একটি প্রতারণা মামলার তদন্তে একজন মহিলা ভিকটিমের সন্ধান পাওয়া যায়। যিনি গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে পুরো টাকা প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। ভাটারা থানা এই মামলাসহ বিমানবন্দর থানার অপর একটি প্রতারণার মামলা তদন্তকালে এজাহার ভুক্ত আসামী ও প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার বশার মোল্লা নিজেকে কাস্টমস ডাইরেক্টরের এপিএস হিসাবে পরিচয় দিয়ে কম দামে স্বর্ণের বার কিনে দেয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করে। গ্রেপ্তার শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু নিজেকে কাস্টমস ডাইরেক্টর এ্যাডমিন হিসাবে ক্রেতার সাথে দেখা করে বিশ্বস্ততা অর্জন করে। গ্রেপ্তার দ্বীন মোহাম্মদ ও জুয়েল শিকদার স্বর্ণকার হিসাবে নকল সোনারবার তৈরী করে।

এছাড়াও গ্রেপ্তার কথিত ড. মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ নিজেকে কেমিস্ট ও পরমাণু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দেয়। গ্রেপ্তা আকবর নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসাবে পরিচয় দেয়। গ্রেপ্তার জামাল ফারাজী, সোহেল শিকদার, বিল্লাল হোসেন এবং শাহরিয়ার ইকবাল ক্রেতা যোগাড় করে কথিত পরমাণু বিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যেতো। পরবর্তীতে তারা ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও সোনারবার পরীক্ষা করে সঠিক আছে বলে ভুয়া রির্পোট দিতো।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানা, দক্ষিণখান থানা, উত্তরা-পূর্ব থানা, কাশিমপুর থানা ও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।

কেউ যদি কখনো সোনার বার, ম্যাগনেটিক পিলার কিংবা মূল্যবান কয়েন বিক্রির প্রস্তাব দেয় তাহলে সে প্রস্তাবে রাজি না হয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে অবগত করার আহবান জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন