হাসপাতাল ভবন নির্মাণে ৪৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার উপ-পরিচালক এসএম আখতার হামিদ ভুঁইঞা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। গত রোববার দায়ের হওয়া মামলার তথ্য গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন সংস্থার জনসংযোগ বিভাগ।
দুদক জানায়, গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ স্থাপন এবং সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক, আয়ন-ব্যয়ন কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রস্তুতকৃত ভুয়া বিল হিসাব রক্ষণ অফিসে দাখিল করে প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত ৪৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, তেজগাঁও থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র প্রধান সহকারী/ক্যাশ মো. আনিসুর রহমান, ঠিকাদার এম জাহান ট্রেডার্সের মালিক মো. মহসীন আলী, গ্রিন ট্রেডার্সের মালিক মো: মাহফুজ হুদা সৈকত। আসামিদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
একটি মামলায় গোপালগঞ্জের ‘শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজ’ স্থাপন প্রকল্প থেকে ২১ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৫১২ টাকা উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরেক মামলায় সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্প থেকে ২১ কোটি ৮৪ লাখ ২৪ হাজার ৯০৩ টাকা উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ সায়েরা খাতুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাদী। তার নামে ২০১১ সালে গোপালগঞ্জে স্থাপন করা হয় ‘শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল’।
জাতীয় নেতা ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ এম. মনসুর আলীর নামে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে নির্মাণ করা হয় ‘শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ, সিরাজগঞ্জ’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন