বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : শীর্ষেন্দুর নামেই হোক সেতুটির নাম

| প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ। গ্রামের বাড়ি যাতায়াতের পথে পায়রা নদী পার হতে হয়। কিন্তু পায়রা নদীতে সেতু বা সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থা না থাকায় তাকেসহ অত্র এলাকার লোকজনকে কঠিন দুর্ভোগে পড়তে হয়। মানুষের এ দুর্ভোগ ছোট্ট শীর্ষেন্দুর মনকে ভীষণ আহত করে। এ দুর্ভোগ লাগবে গত ১৫ আগস্ট শীর্ষেন্দু বিশ্বাস পায়রা নদীতে সেতু নির্মাণের অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি লেখে। এ চিঠির মাধ্যমে শীর্ষেন্দু বিশ্বাস যে হৃদয়গ্রাহী বক্তব্য তুলে ধরেছে এবং একজন রাষ্ট্র পরিচালকের কাছে চিঠি লেখার যে স্পর্ধা দেখিয়েছে  তাকে সত্যিই বিস্ময় বালক হিসেবে অভিহিত করা যায়। কারণ এমন নজির আমাদের দেশে আর একটিও নেই। আমাদের জনদরদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে চিঠির আবেদনে সাড়া দিয়ে পুরো দেশবাসীকে যেমন মুগ্ধ করেছেন, তেমনি পায়রা নদীর ওপর অতি শীঘ্রই একটি সেতু নির্মাণ করে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যেই দেখেছি প্রধানমন্ত্রী তার দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষার করার জন্য নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সেতু নির্মাণস্থল পর্যবেক্ষণের জন্য পর্যবেক্ষক টিম পাঠিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, সেতুটির নাম শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের নামেই নামকরণ করা হোক। যা ‘পায়রা শীর্ষেন্দু বিশ্বাস সেতু’ নামও হতে পারে। তাতে এটি  একটি প্রশংসনীয় কাজ বলে যেমন স্বীকৃত হবে তেমনি এই নামের মাধ্যমে আমাদের দেশের আনাচে-কানাচে অযতœ-অবহেলায় পড়ে থাকা অপ্রস্ফুটিত এরকম হাজারো শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের বিস্ফোরণ ঘটবে এবং যে দৃষ্টান্ত অজপাড়াগাঁয়ের অখ্যাত শীর্ষেন্দু বিশ্বাস আমাদের মাঝে স্থাপন করল তা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দেশকে সেবা করার সাহস, শক্তি ও উদ্দীপনা জোগাবে। আর তাতেই এদেশ সোনায় ভরে উঠবে। আশাকরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার আবেদনটি গ্রহণ করবেন।
মিলন সরকার
বাঁচাইয়া, কচুয়া, চাঁদপুর

সরকারি কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা বাড়ান
সরকারি চাকরির বয়সসীমা না বাড়লে বিশাল সংখ্যক দক্ষ চাকরিজীবীকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ৫৯ বছর বয়সে অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যেতে হবে। দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ থেকে ৭৫ বছর হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে মানুষের কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা। এসব দক্ষ ও কর্মক্ষম জনবলকে অর্থনীতির মূল ¯্রােতে রাখা প্রয়োজন। কারণ সরকার দেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও দেশের জন্য তাদের কাছ থেকে আরো সেবা নেয়ার লক্ষ্যে তাদের চাকরির বয়স ৬১ বছর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীর অবসরের বয়স ৬৫ বছর করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে আমি মনে করি ৫৯ বছরের পরও দেশকে সেবা দেওয়ার শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়, বিচারালয়, সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) ও অন্যান্য গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তাদের অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৭ বছর। চুক্তিভিত্তিতে নিয়োগের ধারায় প্রজাতন্ত্রের অবসরের বয়স ক্ষেত্রবিশেষে ৬৫ বছর পার হয়ে যায়। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারছেন। এ পরিস্থিতিতে যৌক্তিকতা বিবেচনা করে গণকর্মচারীদের বয়স এরা এক বছর বাড়িয়ে ৬০ করার জন্য সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
ড. মো. মোজাহারুল হক
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুর।

হতদরিদ্রের ১০ টাকা কেজি দরের চাল
প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩ কেজি চাল ৫০ লাখ হতদরিদ্রকে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। এই মহৎ কর্মসূচি হতদরিদ্রের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। কিন্তু কিছু সংখ্যক লোভী দুর্নীতিবাজের কারণে উপকারভোগীরা এর সুফল ভোগ করতে পারছে না। পক্ষান্তরে জানা যায়, কিছু সংখ্যক ডিলার ৩০ কেজি চালের মধ্যে ২৬/২৭ কেজি করে কার্ডধারীদের দিয়ে বিদায় করে দিচ্ছে। আবার কোনো মাসের চাল না দিয়েই বিতরণের খাতায় জোর করে টিপসই করিয়ে নিচ্ছে। আরো জানা যায়, কোনো কোনো জনপ্রতিনিধির তথ্য চেয়ারম্যান ও কাউন্টারের আত্মীয়-স্বজন, ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সচ্ছল ও বিত্তবান ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে হতদরিদ্রের চালের কার্ড করে নিয়েছে। ওই কার্ডে তারা চাল উঠিয়েও নিচ্ছে। এভাবে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের অবস্থা ও অনিয়মের কারণে সরকারের সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। তাই হতদরিদ্ররা যাতে ১০ টাকা কেজি দরের চাল সঠিকভাবে ও সঠিক নিয়মে পায় সেদিকে তীক্ষè দৃষ্টি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
কাজী মুহাম্মদ ইউনুস
মিরপুর, ঢাকা

সিএজির এসএএস পরীক্ষা দ্রুত নিন
সিএজি অফিস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তার একটি পরীক্ষা বিভাগ আছে। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর ধরে অডিটর নিয়োগ এবং এসএএস পার্ট-১ পরীক্ষা হচ্ছে না। ফলে অডিটর পদে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার পরীক্ষার্থী এবং এসএএস পার্ট-১ পরীক্ষায় সারা দেশের দশটি অধিদপ্তর এবং হিসাব শাখার সকল উপজেলায় কর্মরত অডিটর, জুনিয়ার অডিটর এবং আগের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীসহ প্রায় ১০ হাজার, সর্বমোট ১ লাখ ৩০ হাজার পরীক্ষার্থী অপেক্ষায় রয়েছে। প্রায় ১ বছর আগে এসএএস পরীক্ষার সার্কুলার জারি করে সিএসি অফিস। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও পরীক্ষা নেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেই। পক্ষান্তরে আগের বছরগুলোতে প্রতি বছর দুবার করে পার্ট ওয়ান পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। পরীক্ষা না হওয়াতে দশটি অধিদপ্তর এবং সিজিএর সারা দেশের ৪৮০টি উপজেলা অফিসের বিশাল জনবলের পদোন্নতি হচ্ছে না এবং প্রশাসনের হিসাব ও অডিট শাখার কাজের ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। সুতরাং অতি দ্রুত এসএএস পার্ট-১ পরীক্ষাসহ সিএজির সকল ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন