দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার ৪ নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মিয়াকে অপসারণ করে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমিন প্রধান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করেন। এর প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকারের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নতুন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত ৪ নং ওয়ার্ড এর সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনকে সাময়িক চেয়ারম্যানের দায়িত্বভার অর্পণ করেন।
বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘ সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনমূলে দিওড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। তিনি আরও বলেন, ‘চিঠির নির্দেশনা মোতাবেক চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে নতুন চেয়ারম্যান কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তার হোসেনকে দায়িত্বভার হস্তান্তর করেন।
প্রকাশ,স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, দিওড় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন ইউনিয়নের ৯ ইউপি সদস্য। ইউপি সদস্যরা তাঁর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের সভার কার্যবিবরণী লেখা, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য ছাড়াই স্থায়ী কমিটির সভা করা, প্রকল্প কমিটির সভা ও এলজিএসপি সভাসহ অন্যান্য সভা আহব্বান না করা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়ার সুপারিশের ক্ষেত্রে উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে অনাস্থা প্রস্তাব তুললে
বিরামপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা লুৎফর রহমান মণ্ডল বিশেষ সভা আহ্বান করে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট গ্রহণ করেন। এতে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ৯টি ভোট পড়ে, যা দুই–তৃতীয়াংশের বেশি। প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো প্রমাণিত হওয়ায় এবং বিশেষ সভায় অনাস্থা প্রস্তাবটি দুই–তৃতীয়াংশের বেশি ভোটে গৃহীত হওয়ায়, বর্ণিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কর্তৃক জনস্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করা সমীচীন হবে না মর্মে বিবেচিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক দিনাজপুরের কাছে পাঠানো অনাস্থা প্রস্তাবটি সরকার কর্তৃক স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯–এর ৩৯ ধারা অনুযায়ী অনুমোদিত হয়েছে। জনস্বার্থে অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদিত হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক মিয়ার পদটি একই আইনের ৩৫(১)(চ) ধারা অনুযায়ী শূন্য ঘোষণা করা হয়।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ইউপি সদস্য কর্তৃক আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি ঢাকায় এসেছি। মঙ্গলবার এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানান। এবং তিনি ন্যায় বিচার পাবেন বলেও দাবি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন