ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হককে কেবল গুলশান-বনানী নিয়েই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। গুলশানবাসীর নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিশেষ বাস সাভির্স চালু, বিশেষ রিকশা চালু, গুলশান আবাসিক এলাকা থেকে বাণিজ্যিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অপসারণ, ফুটপাতা দখলমুক্ত করা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ইত্যাদি কেবল গুলশানকে কেন্দ্র করে। কিন্তু তিনি কেবল গুলশানের মেয়র নন। অন্যান্য এলাকার প্রতিও তার সমান নজর থাকা উচিত। মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের কালসী থেকে অ্যাভিনিউ-৫, প্যারিস রোড, ঝুটপট্টি হয়ে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে পূর্ণ হয়ে এখন চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা মেরামত করে চলাচলের উপযুক্ত রাখতে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের দু বছর পূর্ণ হতে চলেছে, অথচ এখনও ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশনের অধিকাংশ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী-এটা দুর্ভাগ্যজনক। মেয়র অনিসুল হকের প্রতি বিনীত অনুরোধ, সকল এলাকার সুষম উন্নয়নে সচেষ্ট হোন।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা।
গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী
গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের মূল উদ্দেশ্য-বাংলাদেশে প্রতিটি গ্রামে নিরাপত্তা দিয়ে জনগণের সুষ্ঠু ও নিরাপদ জীবনযাপনে সহায়তা করা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী গ্রামের প্রতিরক্ষায় কতটা কার্যকর ভূমিকা পালন করছে? যখন নিরাপত্তার বিষয়টি আয়ত্তের বাইরে চলে যায় তখনই কেবল প্রশাসনের টনক নড়ে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাও শিথিল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের মনে অনাস্থা তৈরি হয়। ভুক্তভোগী মানুষগুলো দুবেলা দুমুঠো খাবার খেয়ে একটু নিরাপদে জীবনযাপন করতে চায়। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের। সুতরাং দ্রুত গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জোরদার ও কার্যকর করা হোক।
মাসুমা রুমা
শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
কক্সবাজারে দালাল ও ক্যামেরাম্যানদের দৌরাত্ম্য
বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন এলাকা কক্সবাজার। সমুদ্রসৈকত রয়েছে কক্সবাজারে। দলে দলে পর্যটক ছুটে আসেন এই পর্যটন নগরীতে। একটি দৈনিকে প্রকাশ, কক্সবাজারে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। পর্যটকরা কক্সবাজারের বাস টার্মিনালে গিয়ে নামলে দালালচক্র তাদের ঘিরে ধরে। শুরু হয় পর্যটক নিয়ে টানাহেঁচড়া অর্থাৎ তাদের পছন্দের হোটেলে নেয়ার চেষ্টা। আর পর্যটক নিজের পছন্দের হোটেলে যেতে চাইলে তাকে গাড়িতে নেয়া হয় না। এত হলো বাসস্ট্যান্ডের চিত্র। ওদিকে সমুদ্রসৈকতে যেতে না যেতে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরাম্যান পথ আগলে ধরে- নানাভাবে ছবি তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এক অর্থে জোর করে ছবি দিয়ে ইচ্ছামতো টাকা দাবি করে। অনেক ক্ষেত্রে নারী পর্যটকদের গোসলের দৃশ্য তোলে তাদের অজান্তে। অতঃপর তাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। পরে বিপাকে পড়ে টাকা দিয়ে তারা ছবি নিতে বাধ্য হয়। এইভাবে পর্যটকরা দালালচক্রের কবলে পড়ছেন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ এই যে, কক্সবাজারে গিয়ে পর্যটকরা যাতে কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন সেটি গুরুত্ব সহকারে দেখুন।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।
ময়মনসিংহে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন প্রসঙ্গে
প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে ইমামদের প্রশিক্ষণের জন্য ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি সরকারিভাবে স্থাপিত হয়েছে। ময়মনসিংহে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি নাই। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির মাধ্যমে মসজিদের ইমামদের প্রশিক্ষত করা হচ্ছে। প্রশিক্ষণের আওতায় ইমামদের ধর্মীয় জ্ঞানের পাশপাশি কৃষি ও বনায়ন, প্রাণিসম্পদ পালন ও মৎস্য চাষ, প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচিতি বিষয়ে ৪৫ দিনের নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন, বাল্যবিবাহ রোধ, ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি জোরদার করাসহ সমসাময়িক বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। তিন লক্ষাধিক মসজিদের প্রায় সাত লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিনের জন্য দেশে মাত্র ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে। ময়মনসিংহ একটি বৃহৎ অঞ্চল। দেরিতে হলেও বিভাগীয় শহরের মর্যাদা পেয়েছে। কাজেই ময়মনসিংহে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপনের ব্যাপারে ধর্মমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আলহাজ মুসলেহ উদ্দিন
রাঙামাটি, তারাকান্দা, ময়মনসিংহ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন