কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ইনানী রেঞ্জের জালিয়া পালং বিট একটি সমাস্যা সংকুল বিট। একদিকে নদী-নালা, খাল বিল, পাহাড়, সংরক্ষিত বিস্তীর্ণ বনভুমি, অন্যদিকে বন বিভাগের জনবল স্বল্পতা-তাই এই রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিট কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের প্রতিনিয়ত অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষার কাজে অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়।স্বল্প জনবল হলেও, তাদের দিন রাত পরিশ্রমের ফসল হচ্ছে পুর্বের তুলনায় পাহাড় ও নির্বিচারে সংরক্ষিত এলাকার বনভুমি ধ্বংশযজ্ঞের হাত থেকে রক্ষা করে চলা।
এ ব্যাপারে উক্ত অঞ্চলের বিট কর্মকর্তা জনাব ইসরাইল হোসেন এই প্রতিবেদককে জানান, ‘পুর্বে এ বিটে পাহাড় কাটা ব্যাপকভাবে ছিল। বর্তমানে সিপিজি সদস্য, ভিলিজারসহ টহল জোরদার করতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া স্থানীয় জনসাধারণকে নানা মোটিবেশনের মাধ্যমে পাহাড় কাটা, বনভুমি ধংসের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করণের মাধ্যমে এবং বন অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ও অপরাধিদের বিরুদ্ধে বন মামলা দায়ের করায় বর্তমানে পাহাড় কাটা অনেকাংশে কমে এসেছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘এ বিটে বনভুমি জবর দখল করে অনেক পূর্ব থেকেই অনেক লোক বসবাস করে আসছে। জবর দখল প্রতিরোধ এবং ঝুকিপুর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের তালিকা ইতিমধ্যতে প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্প্রতি জুম্মা পাড়া এলাকায় ১ম দফায় ৩০ জন জবর দখলকারীদেরকে জবর দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং উক্ত নোটিশের কপি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে’।
‘তাছাড়াও জুম্মাপাড়া ঝুকিপুর্ণ এলাকায় যেখানে অতিরিক্ত বন অপরাধ পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে এবং বন ও বন্যপ্রাণীর জন্য চরমভাবে ঝুকিপূর্ণ আমরা মনে করি, সেসব এলাকা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়টি বিবেচনাধীন। সংরক্ষিত বনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে বনের গাছপালা ও বন্য প্রানী ঝুকিমুক্ত থাকবে’-বলে তিনি জানান।
জালিয়া পালং বিটটি বঙ্গোপসাগরের অনতিদুরে অবস্থান করছে। এখানে প্রাকৃতিক পেরেক নামে পরিচিত পাহাড়গুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা হ্রাস, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে এই পাহাড়্গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। তাই প্রাকৃতিক পেরেক্ষ্যাত পাহাড়্গুলো রক্ষা করাই বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে জালিয়া পালং বিট অফিসার মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন