সুনামগঞ্জে চার দফা দাবিতে দুই দিনের বাস ধর্মঘট চলছে। জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির ডাকে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুর এলাকার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কোনও বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির দাবিগুলো হলো- লামাকাজি সেতুতে বাসের টোল প্রত্যাহার, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও নিবন্ধনহীন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ, বিআরটিসি বাস বন্ধ ও সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা।
শুক্র ও শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে কোনও যাত্রীবাহী বাস মিনিবাস চলাচল করবে না। তবে আজ সকাল থেকে সীমিত পরিসরে সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। যাত্রীরা দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যে যাচ্ছেন। অনেকে গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই গন্তব্যে ছুটছেন।
এদিকে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিভাগীয় গণসমাবেশ করবে বিএনপি। দলটির নেতাদের দাবি, গণসমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতেই বাস মালিকদের ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য করেছে সরকার।
জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মিয়া বলেন, ‘দাবি আদায়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ থেকে জেলার সুনামগঞ্জ-সিলেট ও জগ্ননাথপুর-ছাতক রুটে বাস মিনিবাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির দাবি করেন, বিএনপির সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনও ষড়যন্ত্রই সমাবেশে উপস্থিতি কমাতে পারবে না। যত বাধাই আসুক, সমাবেশ সফল হবে। সিলেটের সমাবেশ ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন