পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবৈধ উপায়ে চাঁদা দাবী করায় ট্রলার চালক সমিতি সোমবার সকাল থেকে অনিদ্রিষ্ট সময়ের জন্য ধর্মঘট পালন করছেন। এতে উপজেলার সাধারন ব্যবসায়ী সহ ট্রলার চালক সমিতির পরিবার গুলো হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
ট্রলার চালক সমিতির সভাপতি মো.শাহাদাৎ মাঝি জানান, তিনি অন্ততঃ তিন বছর যাবৎ আন্ধারমানিক নদীতে ট্রলার চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দোকান-পাট গুলোতে মালামাল পৌঁছে দেন। এটা তার পেশা। এ উপার্জন দিয়ে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করে আসছেন তিনি। এ ট্রলার চালনার সাথে অন্ততঃ অর্ধশত মানুষ জড়িত রয়েছে । হঠাৎ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অহেতুক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করায় তাদের কেউ কেউ মালামাল ক্রয় বন্ধ করে দেন। এতে তারা ট্রলারে মালামাল না নিয়ে সড়ক পথে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ট্রলার চালকরা অনেকটা বেকার হয়ে পড়েছেন।
একই সমিতির সাধারন সম্পাদক বাবুল মুসুল্লী জানান, লঞ্চ টার্মিনাল এবং পৌরসভা দুই পক্ষই মুন্সীর ঘাটটি তাদের দাবী করে আসছেন। পৌরসভার মেয়র ওই এলাকা টোলবিহীন বলে একটি সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেন। অপরদিকে, লঞ্চ টার্মিনাল যাদের ইজারায়, তাদের প্রতি সপ্তাহে ট্রলার প্রতি ২০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে । অথচ কতিপয় লোকজন পুনরায় মালামাল লোড-আনলোডিং এর জন্য টাকা আদায় করছেন । তারা এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে হয়রানি বন্ধের দাবী জানান ।
কলাপাড়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো.হুমায়ুন কবির জানান, মুন্সির ঘাট পৌরসভার নিয়ন্ত্রনে এবং এক সময় পৌরসভাই ইজারা দিত। আমরা জনগনের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সকলের জন্য উন্মুক্ত করে একটি সাইনবোর্ড সাটিয়ে দেয়া হয়েছে ।
ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা জানান, সোমবার থেকে পাইকাররা মালামাল কিনতে আসছেন না। এক শ্রেনীর চাঁদাবাজের চাঁদা আদায়ের কারনে এলাকায় সাধারন ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে । এ ব্যাপারে কলাপাড়া পৌর লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট ইজারাদার নুরুজ্জামান খালাসী জানান, এটা সরকারের ইজারা দেয়া,আমাদের কাগজ প্বশাসনের সকল অফিসে দেয়া আছে। এখানে চাঁদাবাজি র কিছু নেই, এটা অবৈধ হলে প্রশাসন আমাদেরটা আমাদের বুজিয়ে দিক।ট্রলারগুলো পল্টুনে আসুক। আমরাও এর সমাধান চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন