হালকা শীত আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নেমেছে। হিমেল হাওয়া আর নীল জলরাশির সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছেন ভ্রমণ-পিপাসুরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, সমুদ্র সৈকতের লাবণী, কলাতলী ও সুগন্ধা পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
তারা বালিয়াড়িসহ সাগরের নোনা পানিতে আনন্দে মেতে উঠছেন। কেউ ছবি তুলছেন, আবার কেউ নিজেই সেলফিতে মেতে উঠছেন। সৈকতের তিনটি পয়েন্টে সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা। আর পর্যটকদের হয়রানি রোধে ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বীচ কর্মীরা সমন্বিতভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি।
সী-সেভ লাইফগার্ড সুপারভাইজার সাইফুল্লাহ সিফাত বলেন, স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের যে সুইমিং জোন আছে সেগুলো নিরাপদ রাখার চেষ্টা করছি। এসএসসি পরীক্ষা শেষে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছে মোহাম্মদ সামি। সে বলে, এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার আসার অনেক পরিকল্পনা ছিল। তবে গরম থাকায় আসিনি। এখন হাল্কা শীত পড়েছে, তাই পরিবারের সঙ্গে সমুদ্র নগরী কক্সবাজার চলে আসলাম।
পর্যটক মোহাম্মদ সায়েব-শফিকা আকতার দম্পতি বলেন, অনেক দিন কক্সবাজারে আসব আসব করেও আসা হয়নি। অবশেষে শীতের শুরুতে কক্সবাজার এলাম। গাড়ি থেকে নেমে সমুদ্রের ঢেউ দেখে সব কষ্ট মুছে গেছে। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আলাদা করে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন