শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

অবিলম্বে বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করুন

বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বিদ্যুতের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির দায় জোর করে জনগণের কাঁধে চাপানো হচ্ছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়ে যাবে। খেটে খাওয়াসহ স্বল্প আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পতিত হবে।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঃ পাইকারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জনজীবন চরম দুর্ভোগে পৌচ্ছে। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ দিশেহারা। মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সমন্বয় নেই। ঠিক সেই মুহূর্তে বিদ্যুতের দাম ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কারণে জিনিসপত্রের দাম আরো বেড়ে যাবে। খেটে খাওয়াসহ স্বল্প আয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পতিত হবে।

তিনি আরও বলেন, জ্বালানি সঙ্কটের কারণে কলকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে কৃষি ও কলকারখানা উৎপাদনে বিরুপ প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়লে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে পৌছবে। সুতরাং বিদ্যুতের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঃ বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান।

গতকাল এক বিবৃতিতে লেবার পার্টির নেতৃদ্বয় বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের দুর্নীতি ও ভুলনীতির দায় জোর করে জনগণের কাঁধে চাপানো হচ্ছে। নেতারা আরো বলেন, গত কয়েক বছরে সরকারের নীরবতা, কখনো সহযোগিতায় কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হয়ে দেশের অর্থনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। অন্যদিকে সরকারের ঘনিষ্ঠজনরা ব্যাংক থেকে ঋণের নামে বেশুমার লুট করে দেশের অর্থনীতিকে চরম সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ অবস্থায় মুখ রক্ষার জন্য সরকার অর্থনীতির ওপর চাপ কমানোর নামে মানুষের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিতে নানা রকমের কৌশল বের করছে।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন. ভর্তুকি কমানোর নামে কয়েক দিন পর পর গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে। অথচ গত জাতীয় বাজেট প্রণয়নকালে অর্থমন্ত্রী পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার জন্য যে অনৈতিক ছাড় দিয়েছিলেন তাতে কোনো সুফল আসেনি। দেখা যাচ্ছে, অবাধ লুণ্ঠন বহাল রেখে, খেলাপি ঋণ উদ্ধার না করে আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের পকেট নতুন করে কাটতে এ মূল্যবৃদ্ধি অযৌক্তিক ও অনৈতিক। সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে খুচরা বিদ্যুতের দাম বাড়বে এবং অনিবার্যভাবে নিত্যপণ্যের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি পাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন