সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার মামলায় বিএনপির ৫ নেতাকর্মীকে আটক করেছেন থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের লাউতা চার মাথা আকবর আলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আর এ ঘটনায় তালম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জামেল হক মজনু বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ রাতভর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫ বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করে।
আটককৃত আসামীরা হলেন, উপজেলার তালম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ সোহরাব হোসেন (৫৫), ইউনিয়ন যুব দলের আহ্বায়ক মোঃ দিদার খাঁন (৪২), তাড়াশ উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ রাজিব আহম্মেদ মাসুম (৩৮), বারুহাস ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ডা. মুক্তার হোসেন সরকার (৪৫) ও মাধাইনগর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ (৪০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতা কর্মীরা উপজেলার তাড়াশ-রানীরহাট আঞ্চলিক সড়কের লাউতা চার মাথা আকবর আলী বাজার এলাকায় ককটেল বিস্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তালম ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোজ্জামেল হক মজনু বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১২০ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ নেতা কর্মীকে আটক করেন।
তবে স্থানীয় বাসিন্দা আবু জাফর হোসেন কোন শব্দ বা এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে সাংবাদিকদের জানান।
তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম টুটুল বলেন, আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশকে সামনে রেখে ভয়ভীতি দেখাতে এ ধরনের গায়াবী মামলা করেছেন। এটি সরকারের দমন-পিড়নের একটি কৌশলমাত্র।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আটককৃত আসামীদের বুধবার সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন