ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিল মাঠে নামার আগে কিংবা হেরে মাঠ ছাড়ার পরে একটা আলাপ চারিদিকে ‘এটা সেলেসাওদের দ্বিতীয় সারির দল’! খেলার আগে যারা ইনিয়েবিনিয়ে অথবা প্রকাশ্যেই বুক ফুলিয়ে বলেছেন, ‘বাহ, ব্রাজিলের দ্বিতীয় সারির দলটাও এতো শক্তিশালী’! তাদের মতে আক্রমণভাগ থেকে রক্ষণ সবদিকেই ব্রাজিল সাজানো-গোছানো, বিকল্পের কোনো অভাব নেই তিতের দলে।
ক্যামেরুনের বিপক্ষে ঐতিহাসিক হারের পর সেই মত উল্টে গেছে। সেই সেলেসাও ভক্তরাই বলতে শুরু করেছেন, ‘দ্বিতীয় সারির দল মাঠে নামিয়েছিল বলেই ব্রাজিলের এ ভরাডুবি।’ এই যুক্তিতে স্বান্তনা পাওয়া গেলেও আসল কথাটা উল্টো।
বিশ্বকাপ খেলতে যে দল মাঠে নামে সেটা আসলে দ্বিতীয় সারির হয় না, হতে পারে না। কারণ, বিশ্বকাপে প্রত্যেকটা দলই যায় তাদের বাছাই করা সেরা ২৬ খেলোয়াড়র নিয়ে। আর সেই ফুটবলাররা কারো বিকল্প নয়, দলে জায়গা পায় সম্পূরক হিসেবে। মানে নেইমারের সাথে রদ্রিগোর তুলনা না চললেও তিনি অন্তত ওই পজিশন ভালোভাবে সামলানোর ক্ষমতা রাখেন, এটা ধরে নিয়েই তাকে মাঠে নামানো হয়।
তাই ব্রাজিল একাদশে ৯ পরিবর্তন এনে ‘দ্বিতীয় সারির দল’কে মাঠে নামায়নি কিংবা তারা বেঞ্চ-পরীক্ষাও করেনি। তারা তাদের সম্পূরক দলটিকেই মাঠে নামিয়েছিল। যেটাকে কোনোভাবেই দ্বিতীয় সারির আখ্যা দিয়ে রেহাই পাওয়ার উপায় নেই।
মাঠের খেলায় যদি পরিবর্তিত এই দল ভালো করতো, তখন কিন্তু এই ‘দ্বিতীয় সারি’র সুরটা থাকতো ম্রিয়মান। জয়োল্লাস আর বীরত্ব গাঁথায় তখন চলতো কেবল ব্রাজিল বন্দনা। আর মনে রাখা জরুরি, কথিত প্রথম সারির দল নিয়েও ব্রাজিল অপরাজিত ছিল না সবসময়। সর্ব শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেও সেলেসাওদের ৭-১ গোলে হারার রেকর্ড আছে। সেই ম্যাচে নেইমার ছিলেন না, এ প্রসঙ্গ টেনে যে কেউ তর্ক জুড়তে পারেন! তবে সে তর্ক মনে হয় ধোপে টিকবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন