শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪-১২-২০১৬ তারিখের ১০৮৬ নম্বর স্মারক মারফত সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদা সম্পন্ন ৪৫০ জন শিক্ষক- শিক্ষিকাকে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদ সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা পদে পদায়ন করা হয়েছে। কিন্তু ঐ তালিকায় অনেক তৃতীয় শ্রেণিরও বিভাগীয় মামলাধীন শিক্ষকের নাম রয়েছে। তাই পদোন্নতির তালিকা ত্রুটিমুক্ত করে পুনরায় প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
কক্সবাজারে দালাল ও ক্যামেরাম্যানদের দৌরাত্ম্য
বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন এলাকা কক্সবাজার। সমুদ্রসৈকত রয়েছে কক্সবাজারে। দলে দলে পর্যটক ছুটে আসেন এই পর্যটন নগরীতে। একটি দৈনিকে প্রকাশ, কক্সবাজারে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। পর্যটকরা কক্সবাজারের বাস টার্মিনালে গিয়ে নামলে দালালচক্র তাদের ঘিরে ধরে। শুরু হয় পর্যটক নিয়ে টানাহেঁচড়া অর্থাৎ তাদের পছন্দের হোটেলে নেয়ার চেষ্টা। আর পর্যটক নিজের পছন্দের হোটেলে যেতে চাইলে তাকে গাড়িতে নেয়া হয় না। এত হলো বাসস্ট্যান্ডের চিত্র। ওদিকে সমুদ্রসৈকতে যেতে না যেতে ছবি তোলার জন্য ক্যামেরাম্যান পথ আগলে ধরে- নানাভাবে ছবি তোলার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এক অর্থে জোর করে ছবি দিয়ে ইচ্ছামতো টাকা দাবি করে। অনেক ক্ষেত্রে নারী পর্যটকদের গোসলের দৃশ্য তোলে তাদের অজান্তে। অতঃপর তাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। পরে বিপাকে পড়ে টাকা দিয়ে তারা ছবি নিতে বাধ্য হয়। এইভাবে পর্যটকরা দালালচক্রের কবলে পড়ছেন। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ এই যে, কক্সবাজারে গিয়ে পর্যটকরা যাতে কোন ধরনের সমস্যায় না পড়েন সেটি গুরুত্ব সহকারে দেখুন।
লিয়াকত হোসেন খোকন, রূপনগর, ঢাকা।
সিগারেটের বিজ্ঞাপন
ধূমপানে নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল সংবাদপত্রের মাধ্যমে প্রচারণার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসনীয় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। একটি বিজ্ঞাপনে ক্ষত অবস্থায় এক মহিলার যে মুখাবয়বের ছবি ছাপানো হয়েছে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। ছবিটি শিশু-কিশোরসহ দুর্বল হৃদয়ের পাঠকের মনে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ছবিটি দেখার পর অসুস্থতাবোধ করাও বিচিত্র নয়। যেহেতু দৈনিক পত্রিকা শিশু-কিশোর ও বৃদ্ধাসহ সকল বয়সের পাঠকই পড়ে, সেহেতু এ ধরনের বীভৎস ছবি ছাপা কতটা যুক্তিযুক্ত সেটা ভেবে দেখতে সবাইকে অনুরোধ জানাই।
মো. মাজহারুল কাদের, চেয়ারম্যান, ইনডেক্স গ্রুপ অফ কোম্পানিজ
বাড়ি ৩৪, সড়ক ১২, ব্লক-কে, বারিধারা দূতাবাস জোন, ঢাকা-১২১২।
গণটয়লেট জরুরি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলাধীন ভাটি এলাকার অরুয়াইল বাজারে তিনটি ইউনিয়নে ৫০টি গ্রামের মানুষ পণ্য বেচাকেনার জন্য আসে। দুঃখের বিষয়, এই জনবহুল বাজারে একটিমাত্র গণটয়লেট, যেখানে মানুষের লাইন পড়ে। কোনো কোনো সময় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কারো কারো অবস্থা বেসামাল হয়ে যায়। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে রাত ১০টা-১১ট পর্যন্ত বেচাকেনা হয় এ বাজারে। গণটয়লেটের অপ্রতুলতায় কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে পার্শ্ববর্তী তিতাস নদীর তীরে নৌকার চিপাচাপায় প্রাকৃতিক কর্ম সম্পাদন করে। এতে পরিবেশ দূষণ হওয়ার পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে তিতাস নদীর পানি। এ অবস্থায়, অরুয়াইল উত্তর বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ডে একটি গণটয়লেট স্থাপন করা জরুরি। এ ব্যাপারে আশু ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এম. মনসুর আলী, অরুয়াইল, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আত্রাই-রানীনগর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুরবস্থা
নাটোর জেলার আত্রাই উপজেলায় চারটি এবং রানীনগর উপজেলায় দুটি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আত্রাই উপজেলার আহমানগঞ্জ, ভৌপাড়া, শাহাগোলা ও হাটকালুপাড়া এবং রানীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ও একডালা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসক ও কর্মচারী না থাকায় অসহায় গরিব জনসাধারণ ন্যূনতম চিকিৎসা ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা থেকে বঞ্চিত। এ অবস্থায় ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো চালুর জন্য আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ শওকত আলী চৌধুরী (রিজভী)
গ্রাম ও ডাকঘর : আমরুল কসবা
উপজেলা-আত্রাই, জেলা-নওগাঁ।
ঢাকা তোরণ চাই
প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু পার হয়ে দক্ষিণ ও পশ্চিমবাংলার প্রায় ৪০টি জেলার মানুষ ঢাকায় আসা-যাওয়া করে। কিন্তু ঢাকার ঐ অংশে কোনো তোরণ নাই, যদিও দেশের সর্বত্র সকল জেলায় প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পথে স্বাগতম ও শুভেচ্ছা বিদায় লেখা তোরণ চোখে পড়ে। প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতুর ঢাকা অংশে তথা জুরাইন- পোস্তাগোলার শুরুতে স্বাগতম ঢাকা লেখা তোরণ নেই। একইভাবে মুন্সিগঞ্জ জেলার শেষ অংশে তথা ঢাকার শুরুতে মুন্সিগঞ্জ জেলা শেষে নেই ‘বিদায় মুন্সিগঞ্জ’ লেখা তোরণ বা ফলক। বিষয়টির প্রতি যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নজরুল ইসলাম খান
৫৪, নতুন জুরাইন, ঢাকা।
বারইয়ারহাটে সাবপোস্ট অফিস প্রয়োজন
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার বারইয়ারহাট জনবহুল একটি স্থান। অথচ এখানে সাবপোস্ট নেই! এখানে রয়েছে মান্ধাতার আমলের ব্রাঞ্চ পোস্ট অফিস, যা মহাজনহাট (৪৩২৬)-এর অধীনস্থ। মহাজনহাটে বর্তমানে ব্রাঞ্চ অফিসের উপযোগিতাও নেই, অথচ রয়েছে হিঙ্গুলী এবং ধূম ইউনিয়নবাসীর ‘প্রধান’ পোস্ট (সাব) অফিসটি! তাছাড়া ‘হিঙ্গুলী ডাকঘর’ নামেই পরিচিত। পরিশেষে বারইয়ারহাটে সাবপোস্ট স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ
বারইয়ারহাটা, মীরসরাই, চট্টগ্রাম-৪৩২৬।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন