সময়ের আবর্তনে আমাদের জীবন থেকে বহু বছর গত হয়েছে। তেমনি আরো একটি বছর পাড়ি দিয়ে নতুন বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছি। কিন্তু একবারও কি হিসাব করেছি গত হয়ে যাওয়া বছরটিতে আমরা কি কি নেক ও বদ আমল করেছি? আমার কোনো কোনো কাজের দ্বারা মানুষের উপকার কিংবা ক্ষতিসাধিত হয়েছে? কতটুকু আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করেছি আর কতটুকুইবা আল্লাহ বিমুখ হয়েছি। চলতে চলতে কখন যে মালাকুল মওতের সাথে সাক্ষাৎ হয়ে যাবে তা কেবল রাব্বুল আলামিনই জ্ঞাত। কি আমল নিয়ে তাঁর সামনে দাঁড়াব? নিজেকে কঠিন দিবসে নির্দোষ প্রমাণের কোনো পাথেয় আছে কি? গতকাল রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমের খতিব মুফতি মাওলানা মাহবুবুর রহমান জুমা-পূর্ব বয়ানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কেয়ামতের দিন প্রত্যেকটি মানুষকে অবশ্যই চারটি প্রশ্নের জবাব দিতে হবে, যৌবনের শক্তি ও যোগ্যতা কোথায় ব্যয় করা হয়েছে? সম্পদ কোত্থেকে উপার্জন করা হয়েছে? উহা কীভাবে ব্যয় করা হয়েছে? অর্জিত জ্ঞানের কতটুকু আমল করা হয়েছে? এ চারটি প্রশ্নের জবাব কি হওয়া উচিত তা আমাদের অজানা নয়। কিন্তু চিন্তার বিষয় আল্লাহর সামনে নিজেকে নিষ্কলুষ প্রমাণের জন্য যে উত্তর প্রয়োজন সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে পারছি তো? আসুন জীবনের হয়ে যাওয়া ভুলত্রুটির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নতুন বছরে আল্লাহর আনুগত্য স্বীকার করে তাঁরই নির্দেশিত পথে পরিচালিত হই।
খতিব বলেন, মহান বিজয় দিবসকে ঘিরে রয়েছে বহু স্মৃতি, আবেগ, ভালোবাসা ও প্রাপ্তি। রয়েছে দেশপ্রেম যা ঈমানের অঙ্গ। মক্কাবাসীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সেখান থেকে মদিনায় হিজরতের সময় স্বীয় জন্মভূমির প্রতি তিনি বারবার ফিরে তাকান এবং কাতর কণ্ঠে বলেন, ‘মক্কা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় দেশ, যদি কাফেররা আমাকে বের করে না দিতো তবে আমি বের হতাম না।রাসূল (সা.) -এর এ কথা দ্বারা স্বদেশপ্রেম স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আমাদের মাতৃভূমিকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে যেভাবে আত্মনিয়োগ করেছেন সকলেই আমাদের শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে থাকবে চিরকাল। সেই সাথে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেন অজান্তেও আমার দ্বারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিন্দুমাত্র আঁচর না লাগে। সেই সাথে এহেন অপচেষ্টাকারীকে প্রতিহত করা এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন