বিশ্বকাপের ২২তম আসরে যেন রেকর্ডবুককে ওলট–পালট করতেই কাতারে এসেছিলেন লিওনেল মেসি। কখনো ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেছেন, কখনো গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার রেকর্ড ভেঙেছেন। রেকর্ড ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়ে তার হাত ধরেই আর্জেন্টিনা পেয়েছে তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ। এর সঙ্গে যেন অমরত্বকেও স্পর্শ করে ফেলেছেন ফুটবলের এই ক্ষুদে জাদুকর।
মেসি ও তার দলের এই অর্জনের গল্পটা যেখানে লেখা হয়েছে, সেটা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়। দীর্ঘ ২৯ দিন সেখানে ছিলেন মেসি-আলভারেজরা। তিন যুগ পর আলবিসেলেস্তাদের বিশ্বকাপ জেতায় এবার তাই বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। স্বপ্ন যাত্রায় মেসি যেই রুমে ছিলেন, সেই বি ২০১ নম্বর রুমটিকে ছোট জাদুঘরে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বকাপ চলাকালে কাতার বিশ্ববিদ্যালয় আর্জেন্টিনা দলের জন্য সুযোগ সুবিধার কোনো কমতি রাখেনি। এমনকি আলবিসেলেস্তাদের জায়গা করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটির ঘোষণা দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাছাড়াও মেসিরা সেই জায়গাকে যেন নিজেদের ঘর মনে করেন, সেজন্য স্ক্যালোনির দলকে আতিথ্য দেওয়ার আগে সেখানকার ছাত্রাবাসে দেয়া হয় আর্জেন্টাইন ছোঁয়া। দলটির জন্য তিনটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সও উন্মুক্ত করে দেয় তারা। যেখানে আউটডোর অনুশীলনের পাশাপাশি ইনডোরে জিম করার সুবিধাও পেয়েছিলেন ডি মারিয়া-মার্টিনেসরা।
বিশ্বকাপ মিশন শেষে মেসিরা কাতার বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছে প্রায় এক সপ্তাহ। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গন আর্জেন্টিনার প্রতীকস্বরূপ নীল ও সাদা রঙে সাজানো হয়েছে।
তাছাড়াও হলগুলো বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের পোস্টার, অটোগ্রাফ ও জার্সিতে পরিপূর্ণ। তারা আরও জানায়, বিশ্বকাপ চলাকালে মেসি যে কক্ষে ছিলেন, সেটিকে মিনি জাদুঘরে রূপান্তরিত করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে পুরো বিশ্বের লিওনেল মেসি ভক্তরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন