ঢাকার ধামরাইয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধয়ম (ফেইজ বুক) কে প্রচারসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় জুয়া খেলা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৬ জুয়ারীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো লিটন, আফজাল,পিন্টু দেওয়ান,আব্দুল করিম, মুকাদ্দেস,মোয়াজ্জেম হোসেন। আটককৃত জুয়ারিদের বাড়ি ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায়।
জানা গেছে ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের ভোরাইল এলাকায় পাঁচ / ছয় মাস ধরে চলছি জুয়ার আসর। সেখানে প্রতিদিন হাতবদল হতো প্রায় কোটি টাকা। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসন ও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে জুয়ার এই আসর পরিচালনা করতো বাইশাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মঈন মিয়া (৩৩)। তাঁকে সহযোগিতা করেন বাদল হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক।
সরেজমিনে জানা যায়, পাঁচ / ছয় মাস ধরে ভোরাইল এলাকায় চলছিল এই জুয়ার আসর। ভোরাইল এলাকার কবরস্থানের পেছনে এবং ধানতারা-বাঘাইর আঞ্চলিক সড়কের পাশে ভোরাইল ও বাঘাইর এলাকায় সীমান্ত এলাকায় বসে এই আসর। ওই এলাকায় প্রশাসনের কিংবা অপরিচিত কোনো লোক ও গাড়ি ঢুকলেই সঙ্গে সঙ্গে সে তথ্য পৌঁছে যেত জুয়ার আসরে। আর এ জন্য এলাকায় ৩৫থেকে ৪০ জন সোর্স মোতায়েন থাকতো বলে জানা গেছে। সোর্সের মধ্যে ২০ জন দিনে এবং ২০ জন রাতে জুয়ার আসরের আশপাশে অবস্থান নিয়ে পাহারা দিত।
প্রত্যেক সোর্সকে প্রতিদিন দেওয়া হয় ৫০০ টাকা করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জুয়ার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই টাকার বিনিময়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হতো।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে জুয়ার ওই আসর থেকে রুবেল ও হারুন নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছিল পুলিশ; কিন্তু তাঁরা জামিনে এসে আবার জুয়া খেলা শুরু করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবক সাংবসদিকদের বলেন, এখানে প্রতিদিন প্রায় কোটি টাকা হাতবদল হচ্ছে জুয়া খেলার মাধ্যমে।
এলাকার একাধিক লোকজন জানান, ইউপি সদস্য মঈন মিয়ার নেতৃত্বেই এসব কিছু চলছে। বিশেষ বিশেষ মহলের একাধিক ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে এই জুয়ার আসর পরিচালনা করতেন তিনি।
অভিযুক্ত বাদল হোসেন বলেন, ‘জুয়া খেলে না কে? এসব নিউজ-টিউজ করে লাভ নাই।’
বাইশাকান্দা ইউনিয়ন বিটের দায়িত্বে থাকা ধামরাই থানার এসআই রবিউল হক বলেন, বিষয়টি জানার পর থেকেই ওই এলাকার জুয়াড়িদের ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন