তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে থাকা পাকিস্তান সরকার দুটি এলএনজি-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দোহা নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের এক্সপ্রেস নিউজের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নওয়াজ শরিফের শাসনামলে প্রথম এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পাশাপাশি এ দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে অন্তত ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র দুটি বেসরকারিকরণের তালিকায় রাখা হয়েছিল।
সম্প্রতি এক বৈঠকে বেসরকারিকরণ কর্মসূচি থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। এর পরিবর্তে ন্যাশনাল পাওয়ার পার্ক ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের বিদ্যুৎকেন্দ্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তানের বেসরকারীকরণ কমিশনের বোর্ড কোনো মন্তব্য করেনি।
পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আএইমএফ) দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু এখনো আইএমএফের কাছ থেকে ঋণসহায়তা পায়নি। দেশটি এখন দেউলিয়া হওয়ার হুমকির মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান।
অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার এলএনজি-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিক্রি করাকে ‘টোটকা সমাধান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো বিক্রি করে নগদ কিছু বিদেশি অর্থ পাওয়া যাবে।
গত শুক্রবার পাকিস্তান প্রায় ১.০২ বিলিয়ন ডলারের দুটি বাণিজ্যিক ঋণ পরিশোধ করেছে। এতে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ৪.৫ বিলিয়নে নেমে এসেছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, এ বছর আরও অন্তত ২৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে পাকিস্তানকে।
দোহা নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে এলএনজি-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র কিনতে গত চার বছর ধরে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে কাতার। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্র বিক্রির জন্য পাকিস্তান ২০১৯ সালের এপ্রিলে সিঙ্গাপুরের ক্রেডিট সুইসের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এরপর এক দফা চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর পর গত বছরের ২৯ এপ্রিলে চুক্তির সেই মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে কাতার বলেছে, এ বছর তারা পাকিস্তানে ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। এর মধ্যে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র কেনাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন