দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তালিকার তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তালিকায় এবার যুক্ত হলেন প্রায় ৮০ লাখ নতুন ভোটার। এতে মোট ভোটার বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। এ তালিকা দিয়েই অনুষ্ঠিত হবে আগামী সংসদ নির্বাচন।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে সর্বশেষ হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকার তথ্য তুলে ধরেন ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম। প্রকাশিত খসড়া তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হালনাগাদের পূর্বে দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন।
গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্ব ঘোষিত সময় (১৫ জানুয়ারি) অনুযায়ী প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ মার্চ চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২০১৬ ও ২০১৯ সাল থেকে ৩ বছর পর পর (১৫-১৭ বছর বয়সি ও ভোটারযোগ্যদের) বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ চলে।
এবারের হালনাগাদের তথ্য তুলে ধরে সচিব বলেন, এ চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার নতুন ভোটারযোগ্য হয়েছেন ৭৯ হাজার ৮৩ লাখ ২৭৭ জন। ২০২২ সালে ভোটার ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। হালনাগাদের সময় এ তালিকা থেকে মৃত ভোটার বাদ পড়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। সচিব বলেন, সব মিলিয়ে মৃতদের বাদ ও নতুনদের অন্তর্ভুক্ত করে এ বছরের খসড়া ভোটার তালিকা নতুন অন্তর্ভুক্তযোগ্য ভোটারের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন, যা ৫ দশমিক ১০ শতাংশ। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর নাম বা অন্যান্য তথ্যাদি সংশোধনের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন সংশ্লিষ্টরা। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করে ২ মার্চ চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এদিকে এখন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন এমন ভোটারের সংখ্যা দাঁড়াবে ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর এ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালানাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে পাঁচবার। ২০০৯-২০১০ সাল, ২০১২-২০১৩ সাল, ২০১৫-২০১৬ সাল, ২০১৭-২০১৮ সাল ও ২০১৯-২০২০ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে ইসি। প্রতি ৩ বছর পরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে ইসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন