বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : পেনশন প্রাপ্তিতে জটিলতা দূর হয়নি

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পেনশন সহজিকরণ আদেশ ২০০৯-এ পরিবর্তন পরিবর্ধন সংশোধন ও সংযোজনের পরিপত্র ৩০ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে জারি হলেও পেনশন প্রাপ্তিতে জটিলতা দূর হয়নি। আসলে সমস্যার মূল জায়গায় যাওয়া হয়নি। মূল কারণ ‘না দাবি’ প্রত্যায়নপত্র, বিশেষ করে অডিট আপত্তির বিষয়টি। বেশির ভাগ অডিট আপত্তি প্রাতিষ্ঠানিক হলেও তা ব্যক্তির ওপর প্রয়োগ করা হয়। কোনো কোনো অপিট আপত্তি সরকার কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে হলেও তা ডিডিও-র ওপর চাপানো হয়। অডিট আপত্তি ‘অগ্রিম’ তার জবাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য অডিট অফিসে পাঠানো হলে তা দীর্ঘদিন ফেলে রাখে। টাকা ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অডিট শাখা আপত্তির জবাবটি অডিট অফিসে পাঠায় না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য ত্রিপক্ষীয় সভা করে না, ক্ষেত্রবিশেষে সভা করলেও রেজুলেশন লেখে না, আবার রেজুলেশন করলেও তা অডিট অফিসে আসে না। আবার এগুলো সবই হয় যদি মন্ত্রণালয়ের অডিট শাখাকে তাদের চাহিদামতো টাকা দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য জবাবটি অডিট অফিসে পৌঁছালে সেখানে চলে আরেক খেলা। মাসের পর মাস অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির জন্য প্রেরিত জবাবটি সেখানে পড়ে থাকে, কোনো সিদ্ধান্ত হয় না। ভাগ্য ভালো থাকলে এবং টাকা দিলে আপত্তি নিষ্পত্তি হয়, আর তা না হলে ঠুকনো কারণ দেখিয়ে পুনঃজবাব চাওয়া হয়। পুনঃজবাব অর্থ নিষ্পত্তির জন্য জবাবটি একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা এবং আবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অডিট শাখাকে টাকা দিয়ে পুনঃজবাব অডিট অফিসে নিয়ে আসতে হয়। এতে প্রচুর টাকা খরচ হয়, সময় নষ্ট হয় এবং হয়রানি হতে হয়। চাকরিরত থাকা অবস্থায় এগুলো করা যায়, কিন্তু অবসরের পর বৃদ্ধ বয়সে এগুলো করা যায় না। কিন্তু পেশনের সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অডিট অফিস এতদিন জমিয়ে রাখা অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলো নিয়ে আসে ও তা নিষ্পত্তির জন্য বলে এবং এই অজুহাতে তার পেনশন আটকে দেওয়া হয়।
একটা সময় ছিল, যখন আবেদন করলে পেনশনের ৮০% টাকা অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির আগেই দেওয়া হতো। এখন সেটা নানা অজুহাতে দেওয়া হয় না। পেনশন পাওয়া একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মৌলিক অধিকার। তাই পেনশন সম্পর্কিত বিভিন্ন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতেরও একটা নির্দেশ ছিল-পেনশন প্রাপ্তিতে অডিট আপত্তির বিষয়টিকে না জড়াতে। কিন্তু আদালতের নির্দেশও কার্যকর করা হয়নি। কাজেই শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবে পেনশনপ্রাপ্তি সহজিকরণ করতে সদাশয় সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মো. আবদুল মজিদ, গ্রিন রোড, ঢাকা

মাগুরা-নড়াইল সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছেই
মাগুরা জেলার গঙ্গারামপুর থেকে নড়াইল শহর পর্যন্ত মাত্র ১৯ কিলোমিটার। পেরোবার সময়সীমা ৪৯ মিনিট। অর্থাৎ মিনিটে ২.৫৮ কিলোমিটার। এই রুটের গাড়ির ড্রাইভাররা নিজেদের খেয়ালখুশি মতো এখানে সেখানে থেমে অযথা সময় নষ্ট করে অবশেষে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে উন্মাদের মতো ড্রাইভিং করতে শুরু করেন। অথচ গঙ্গারামপুর থেকে নড়াইলে পৌঁছাতে গাড়ির জন্য যে সময়সীমা বরাদ্দ, স্বাভাবিকভাবে চালিয়ে গেলে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব। গত ৪ নভেম্বর বিকালে হবখালীর ধুনদ্দায় রাস্তার পাশে একটি গাছ কাটছিল স্থানীয়রা। নড়াইল থেকে আসা লোকজনদের থামিয়ে রাখা হয়েছিল। গাছটি তখন পড়ো পড়ো অবস্থা। গঙ্গারামপুর থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসছিল জোয়াদ্দার নামের একটি গাড়ি। ওখানে থাকা লোকজন হাত ইশারা করে থামার সংকেত দিলেও ড্রাইভার তার গাড়ির গতি পরিবর্তন না করে চালিয়ে দেন। ঠিক এমন সময়ই রাস্তার পাশের গাছটিও পড়ে। গাড়িটি দ্রুতগতিসম্পন্ন হওয়ায় ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যান। অনেকে মারাত্মক আহত হয়েছেন। এ রোডের বেশির ভাগ গাড়ির হেলপার খুব অল্প দিনেই ড্রাইভার বনে যান। অভিজ্ঞতার ঘাটতি ও নতুন ড্রাইভার বেতন কম দিলেই গাড়ি চালাতে রাজি- তাই গাড়ির মালিকেরা অবলীলায় পুরাতন ড্রাইভারদের চাকরি নট করে নতুন নতুন মানুষের হাতে গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন। যার জন্য রোজ দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এস আর শানু খান
মনোখালী, হরিতলা, শালিখা, মাগুরা

মোবাইলের আয়ত্তাধীন মানুষ
মোবাইল ফোন এখন জীবনের প্রায় সবটুকু জুড়ে। এই মুঠোফোনের মাধ্যমে পারস্পরিক কথা বলা ছাড়াও নানামুখী বিনোদনের সুযোগ আছে। বেতারের অনুষ্ঠান শোনা ছাড়াও বেতারের ফোন ইন অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণ করা যায়। পিসি না থাকলেও শুধুমাত্র ক্ষুদ্রায়তন মুঠোফোনের আয়তনেই ভেসে ওঠে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের পৃষ্ঠা, সেখানে মেসেজ আদান-প্রদান, ছবি আদান-প্রদান সবই মুহূর্তে সম্ভব। নেটওয়ার্কিং-এ সমাজিক শব্দটি থাকলেও প্রকৃতপক্ষে তা মানুষকে আরো অসামাজিক করে তুলছে। আত্মীয় বা বন্ধুর সশরীরে আগমন যেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এর বিপজ্জনক দিকও রয়েছে। উদাসীন ব্যক্তি ফোনে কথা বলতে বলতে দুর্ঘটনা কবলিত হচ্ছে। সেলফি নেশা তো আছেই। প্রকৃত মুঠোফোন এখন মানুষের নিন্ত্রণাধীন নয় বরং মানুষই তার আয়ত্তাধীন।
শরীয়ত উল্লাহ
১২/ডি, সড়ক-৩, বাড়ি-৪৪, মিরপুর ঢাকা।

বিলীন হওয়ার পথে গাগৈর খাল
কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটের অন্যতম খাল হিসেবে পরিচিত গাগৈর। হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের সামনে থেকে মক্রবপুর সাবেক স্ট্রিলব্রিজ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া গাগৈর খালের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হরিপুর, নতুন হরিপুর, গোত্রশাল, নাঙ্গলকোট গ্রা, মক্রবপুর ও নাঙ্গলকোট বাজারের পানি নিষ্কাশন হতো। মৎস্যজীবীরা একসময় এই খালে মাছ ধরে জীবিকানির্বাহ করত। বর্তমানে লাকসাম- নাঙ্গলকোটের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে সরকারিভাবে গার্ডওয়াল নির্মাণের ফলে খালটি বিলুপ্তি হওয়ার পথে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে পানি নিষ্কাশনে বাধা এবং পলিমাটি জমে নাব্যতা হারিয়েছে। কোনো কারণে খালটিতে পানি চলাচলের ব্যবস্থা না হলে নাঙ্গলকোট বাজারসহ আশপাশের এলাকার জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি হবে। সেই সঙ্গে সংক্রামক ব্যাধি ও রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। এ অবস্থায় খালটি যথাশীঘ্র সম্ভব সংস্কারের উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এসএম আবুল বাশার, আজিম উল্যাহ হানিফ
নাঙ্গলকোট কুমিল্লা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন