ইনকিলাব ডেস্ক : ফিলিস্তিন নিয়ে ভিন্ন অবস্থান নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইলের স্বার্থের বিপক্ষে গিয়ে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের অধিকৃত অংশে বসতি নির্মাণের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এক প্রস্তাবনায় ভোটদানে বিরত থাকল ওয়াশিংটন। যার জেরে উত্থাপিত প্রস্তাবনাটি পাস হয়ে গেল। প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রশাসনের এই নীতি মোটেও ভালোভাবে নেয়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইলি বসতি স্থাপন বন্ধের পক্ষে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথের দিনেই জাতিসংঘ ভিন্ন পথ নেবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। তবে ঠিক কীভাবে এই প্রস্তাব বদলে যাবে, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি ট্রাম্প। জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় এক টুইটার বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ২০ জানুয়ারির পর জাতিসংঘের অবস্থান বদলে যেতে পারে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইহুদিবাদী ইসরাইল-বিরোধী প্রস্তাব পাস হওয়ার পর সতর্ক করে এক টুইটার বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী ২০ জানুয়ারির পর জাতিসংঘে ভিন্ন ঘটনা ঘটবে। ট্রাম্প এ টুইট বার্তায় তার শপথের দিনের কথা উল্লেখ করেছেন বলে খবরে বলা হয়। ফিলিস্তিনি ভূখ-ে অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণ বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসের একদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তিগতভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং ভেটো দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে মার্কিন প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। এদিকে, ইসরাইলের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা জানতেন হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে। সে কারণে তারা ট্রাম্পের সমর্থন চেয়েছেন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইল-বিরোধী প্রস্তাব পাসের কথা ঘোষণার পরপরই ওবামা প্রশাসনের নিন্দা জানান ট্রাম্প। তিনি প্রশ্ন তোলেন- কেন ওবামা প্রশাসন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দেয়নি।এ প্রসঙ্গে মার্কিন সহকারী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডস স্বীকার করেছেন, প্রেসিডেন্ট ওবামার সিদ্ধান্ত যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না, তবুও এ মুহূর্তে একজনই প্রেসিডেন্ট রয়েছেন। তিনি আরো বলেন, ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বারাক ওবামাই প্রেসিডেন্ট এবং আমরা যে কাজ করেছি তা নিশ্চয় মার্কিন নীতি অনুসারেই করেছি। পার্সটুডে, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন