রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

যুক্তরাষ্ট্রে ফিরল ফ্লয়েড স্মৃতি, ‘মা গো!’ বলে পুলিশের মারে লুটিয়ে পড়লেন কৃষ্ণাঙ্গ যুবক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৯:২৫ পিএম

ফিরল জর্জ ফ্লয়েড স্মৃতি। যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি প্রদেশের মেমফিসে এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাঁচজন প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর অভিযোগে ২৯ বছর বয়সি টায়ার নিকোলাসকে ৭ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের তিনদিন পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তা হলেন তাদারিয়াস বেন, ডেমেট্রিয়াস হ্যালি, ডেসমন্ড মিলস জুনিয়র, এমিট মার্টিন তৃতীয় ও জাস্টিন স্মিথ। হেফাজতে রাখা হয়েছে তাদের।

যে ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নিকোলাস মাটিতে পড়ে রয়েছেন। তাকে অন্তত তিনবার ”মা গো!” বলে কাতরে উঠতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তার মুখে লাথি ও ঘুষি পড়া বন্ধ হয়নি। গত ১০ জানুয়ারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে নিকোলাসের। সবচেয়ে দীর্ঘ যে চারটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে, সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে, কীরকম অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছে নিকোলাসের উপরে। ফ্লয়েডের মতোই তারও ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছিলেন এক অফিসার। সেই অবস্থায় অন্য একজন লাগাতার লাথি মেরে যাচ্ছেন। মার খাওয়ার সময় নিকোলাসকে বলতে দেখা গিয়েছে, ”আমি কিছু করিনি। আপনারা এমন করতে পারেন না।”

ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন সকলে। বইছে তীব্র নিন্দার ঝড়। প্রবল মারধরে নিকোলাসকে মাথা গুঁজে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ পরিস্থিতিতে একজন এসে তাকে তুলে বসিয়ে দেন পুলিশের গাড়িতে হেলান দিয়ে। তার মাথা ঝুঁকে পড়ছিল। অফিসারদের বুকে বসানো ক্যামেরা থেকেও অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে নির্যাতনের ছবি ফুটে উঠেছে।

এ তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ফিরে এসেছে জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি। ফ্লয়েডকেও একই ভাবে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছিল পুলিশ। নিকোলাসের মা পুলিশদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার দাবি, প্রাথমিক অবস্থায় পুলিশ চেয়েছিল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে। তাকে বলা হয়েছিল, তার ছেলে মদ্যপ অবস্থায় গ্রেপ্তার হন। কিন্তু তিনি হাতকড়া পড়তে চাইছিলেন না বলে তাঁকে মারধর করতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরে আমেরিকা জুড়ে বইছে নিন্দার ঝড়। সূত্র: এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন