শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাতক্ষীরায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে পন্ড হয়ে গেল বিএনপির প্রস্তুতি সভা

সাতক্ষীরা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:১৪ পিএম

 বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সামনেই দু’পক্ষের সংঘর্ষে পন্ড হয়ে গেল সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে শহরের আমতলার নিরিবিলি কমিউনিটি সেন্টারে এই প্রস্তুতি সভা আহবান করেছিল জেলা বিএনপি

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তড়িঘড়ি করে সভা শুরু হলে বিএনপির জেলা কমিটি নিয়ে উস্কানিমূলক কথা বলেন জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য আইনুল ইসলাম নান্টা। এসময় প্রথম দফায় দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বক্তৃতা পর্ব চলতে থাকে। এসময় সাবেক এমপি কাজী মো. আলাউদ্দিন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শহিদুল আলম, জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রউফ, শেখ তারিকুল হাসান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মৃনাল কান্তি রায়সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এক পর্যায়ে সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলিম বক্তব্য দিতে গিয়ে প্রথমে ঘটে যাওয়া ঘটনা তুলে ধরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর কাছে বিচার দাবি করেন এবং নিজেদের মধ্যে এমন কোন্দল থাকলে ভবিষ্যতে সাবেক ছাত্রদল নেতা আমানুল্লাহ আমানের মতো আরও অনেকের প্রাণ ঝরতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেন।

তার এই বক্তব্যকে ঘিরে আমানুল্লাহ আমান হত্যা মামলার আসামিরা সভাকেন্দ্রে হট্টগোল শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা চড়, কিল, ঘুষি, লাথি আর চেয়ার ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হলে সভা পন্ড হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এদিকে, প্রস্তুতি সভা পন্ড হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে তা দলের জন্য অশনি সংকেত। এতে আমাদের দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে। সরকারপক্ষ এটা নিয়ে হাসি তামাশা করবে।
জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি আসার পর শান্তিপূর্ণভাবে সভা চলছিলো। এসময় সদস্য সচিব আব্দুল আলিমের একটি বক্তব্যকে ঘিরে বিএনপির একটি পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় বিএনপির ওইপক্ষটি আব্দুল আলিমকে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে তা দুইপক্ষের সংঘর্ষে পরিণত হয়। প্রায় ৩০ মিনিট এভাবে চলার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলিম জানান, তিনি এমন কোন বক্তব্য দেননি, যা অন্য একটি পক্ষের বিরুদ্ধে যায়। বিএনপির ওই পক্ষটি দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেন তিনি। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন