বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আওয়ামীলীগের মাথায় পচন ধরেছে, সর্ব ক্ষেত্রেই দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে .মির্জা আব্বাস

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:২৩ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মেয়র, মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন বিএনপি ক্ষমতার জন্য নয় জনগনের ভোটের ভাতের অধিকার ফিরিয়ে আনা। খুন, গুম, দূর্নীতি, অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করছে। বিএনপির আন্দোলনের গতি দেখে লুটেরা অবৈধ সরকার ভয় পেয়েছে। তারা উল্টা পাল্টা কথা বলছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে জনগনকে বলেছিল আমরা দশ টাকা সের চাল খাওয়াবো। ঘরে ঘরে চাকুরী দেব। এটা কি তারা করেছে। তবে চাকুরী হয়েছে লাখ খানেক আওয়ামী ক্যাডারের। আপনারা জানেন মাছের মাথায় পচন ধরলে পুরো মাছ পচে যায়, দূর্গন্ধ ছড়ায়। আওয়ামীলীগের মাথায় পচন ধরেছে। চারিদিকে লুটপাট, দূনীতি, ডলারশূন্য হয়ে গেছে। চট্রগ্রাম বন্দরে জাহাজ বোঝাই মাল পড়ে আছে। ডলারের অভাবে খালাস করতে পারছেনা। ডলার থাকবে কি করে সবিতো নানা কায়দায় পাচার হয়েছে। দেশ চলে গেছে খাদের কিনারে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায়না। যতদ্রুত সম্ভব এ ব্যার্থ স্বৈরাচারী সরকারকে সরানো যায় ততই মঙ্গল।
গনতন্ত্র পূনরুদ্ধারে যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসাবে দশ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ৪ ফেব্রুয়ারী শনিবার দুপুরে রাজশাহীর সোনাদিঘী মোড়ে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমাবেশে রাজশাহী বিভাগের আটজেলা থেকে বিভিন্ন পয্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশনেন। মিছিল নিয়ে হটাও হাসিনা বাঁচাও দেশ শ্লোগান দিতে দিতে ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে সমাবেশে যোগদেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, এই আওয়ামীলীগ সরকার এক সময় তত্বাবধায়ক সরকারের জন্য জামায়াতকে সঙ্গী করে আন্দোলন করেছে। হরতাল করেছে। বোমাবাজি করেছে। বেগম জিয়া বিধি মোতাবেক সংসদে তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান করেছেন। আর আওয়ামীলীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে তা পাকাপোক্ত করতে অন্যায়ভাবে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এখন সাংবিধানের দোহায় দেয়। ওদের লজ্জা নেই।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগের পায়ের তলায় মাটি নেই। বিএনপির কর্মসূচি দেখলে তাদের পদকম্পন শুরু হয়। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন দিলে সারাদেশে বিপুল ভোটে জিতবে বিএনপি। জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। আর আওয়ামীলীগের নেতারা পালিয়েছিলেন। এখন তাকে ও তার পরিবার নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশে আবারও নেতৃত্ব দেবে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য এ মুহুর্তে তাদের বড্ড প্রয়োজন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের আজকের আন্দোলন হচ্ছে জনগনের কষ্ট লাঘবের জন্য। বিদ্যুত তেলসহ সব কিছুর লাগামহীন মূল্য মানুষকে কাহিল করে ফেলেছে। একটু খেয়ে পরে বেঁচে থাকার উপায় নেই। ওরা মানুষের কষ্ট বোঝেনা। জনগনের কথা ভাবেনা। কারন তারা ভাবে জনগনের ভোটের দরকার নেই। ফলে যারা তাদের প্রতিবাদ করছে তাদের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন চালাচ্ছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এদের হঠাতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র, এমপি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাজশাহীর মাটি বিএনপির দূর্জয় ঘাটি ছিল আছে। রাজশাহীর উন্নয়নে বিএনপি সরকার কাজ শুরু করে। বেগম খালেদা জিয়া, সাইফুর রহমান যেসব প্রকল্প বহু বছর আগে উদ্বোধন করেছেন এখন সেগুলো তারা ফের উদ্বোধন করে হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।
আওয়ামীলীগ গত মাসে হাইব্রীডদের নিয়ে মিটিং করে মিথ্যাচার করেছে। আওয়ামীলীগ মানে দু:শাসন, দূনীতি হত্যা, গুম, খুন। দূর্বার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই স্বেরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে নিজ নিজ এলাকায় কাজ করতে হবে। যাতে আর দিনের ভোট রাতে না হয়।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, রাজশাহী জেলা বিএনপি আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নগর সম্পাদক এ্যাড: শফিকুল হক মিলন, বগুড়ার সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাজাহান মিয়া, আমিনুল ইসলাম। সভা উপস্থাপন করেন নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মামুনার রশীদ ও ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন