বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : রোহিঙ্গা ও মানবতার কান্না

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা কোনো পশুর সঙ্গে কেউ করে না। ওআইসি ও জাতিসংঘের এ ব্যাপারে শক্তিশালী ভূমিকা কোথায়? ফুলের মতো সুন্দর শিশু, নারী এবং প্রবীণ পুরুষদের নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নীরবতা বোধগম্য নয়। যিনি শান্তিতে নোবেল পেলেন তার দেশে সবচেয়ে বেমি অশান্তি। তার দলই ক্ষমতায় এবং আরাকানে মানুষ হত্যা করছে। নাফ নদে নিঃস্ব অনেক শিশু, নর ও নারী পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে। এদিকে শীত বাড়ছে। দেশত্যাগী এই বিপুল সংখ্যক মানুষ শীতের দিনে কোথায় আশ্রয় নেবে? রোহিঙ্গারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। বেসরকারি হিসেবে প্রায় দশ হাজার রোহিঙ্গা এখানে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এমনিতে ঘনবসতি এবং অধিক জনসংখ্যার দেশ। এই বিপুল রোহিঙ্গা মুসলিমদের খাবার, ওষুধ, আবাসন এবং প্রয়োজনীয় কাপড় ও পুনর্বাসন কোথায় হবে? বলা হয়ে থাকে মানুষের বিবেক সবচেয়ে বড় আদালত। যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে বিশ্ব বিবেক জাগবে কবে?
আকরা হোসাইন, অডিট কমপ্লেক্স, সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

আমরা জিপিএ-৫ চাই, তবে
আমরা এখন জিপিএ-৫ পাচ্ছি কিন্তু শিখছি না কিছুই। তার প্রতিফলন দেখতে পাই বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে। আমরা কাক্সিক্ষত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ জরুরি। তা না হলে সামনের দিনগুলোতে বিপর্যয় অনিবার্য। আর এই বিপর্যয় হবে পারমাণবিক বোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর। যদি জিপিএ-৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা দূর করা না যায়। শিক্ষকদের আগ্রহ বাড়ছে কোচিং ও প্রাইভেট পড়ানোর প্রতি। তারা আর আগের মতো দরদ দিয়ে পড়ান না। শিক্ষকদের পেয়ে বসেছে টাকার নেশায় আর অভিভাবকদের জিপিএ-৫ এর নেশায়। মাঝখানে আমাদের (ছাত্রছাত্রী) অবস্থা হ-য-ব-র-ল। কেউ আমাদের শারীরিক ও মানসিক দিকটি বিবেচনায় নিচ্ছেন না। আমাদের জন্য পরীক্ষার হলে সকল প্রকার সহযোগিতা বন্ধ করে দিতে হবে এবং পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও নমনীয়তা পরিহার করতে হবে। আমাদেরকে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আমরা জিপিএ ৫ চাই পড়ে, জেনে ও শিখে। যে জিপিএ আমাদের জীবনে অভিশাপ না হয়ে আশীর্বাদ হয়ে থাকবে।
সুধীর বরণ মাঝি, হাইমচর, চাঁদপুর

মোবাইল ব্যবহারে সতর্ক হোন
মোবাইল ফোন ব্যবহারে অসতর্কতার কারণে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আহত কিংবা নিহত হওয়ার খবর পত্রিকায় প্রায়শই ছাপা হয়। জানা যায়, অসতর্কতার বিভিন্ন দিক। যেমন হেডফোন কানে লাগিয়ে কথা কিংবা গান শোনার ছলে অন্যমনস্ক থাকা, কানের পাশে মোবাইল চার্জে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়া, চার্জে লাগানো অবস্থায় মোবাইলে কথা বলা কিংবা স্কিনে বেশিক্ষণ চেয়ে থাকা ইত্যাদি। এই খুঁটিনাটি দিকগুলো আমাদের ক্ষতির বিভিন্ন কারণ হতে পারে। বলা যায় বেশিরভাগ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যাবহারে এখনো অসচেতন। এই অসচেতনতার হয়ে উঠতে পারে মৃত্যুর অন্যতম কারণ। তাই মোবাইল ফোন ব্যবহারে সবার সতর্ক হওয়া বাঞ্ছনীয়।
সুমন চন্দ্র দে, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।

বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন জরুরি
বস্তিবাসী আমাদের দেশেরই নাগরিক। অথচ তাদের ন্যূনতম নাগরিক অধিকার নেই বললে ভুল হবে না। নি¤œ আয়ের মানুষের পাশাপাশি বস্তি এলাকায় বসবাস করে নানা ধরনের মানুষ। আর এই বস্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঢাকা শহরের বস্তিতে আগুন লাগা এখন নতুন কিছু নয়। নয় মাসের ব্যবধানে ঢাকার কড়াইলে দুবার ও এক সপ্তাহের ব্যবধানে মহাখালী সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকা- ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অগ্নিকা- কেন ঘটছে তার তদন্ত ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত দরকার। বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন নির্মাণ এখন জরুরি বলে মনে করি। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সৈয়দ সাইফুল করিম, পিলখানা, ঢাকা।

ইছামতি নদীতে সেতু নির্মাণ করা হোক
সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থানার একটি গ্রাম দেওজি। জীবিকার তাগিদে, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে, ব্যবহারিক জিনিসপত্র ক্রয়ের উদ্দেশ্যে কিংবা লেখাপড়ার জন্য গ্রামবাসীকে যেতে হয় আশেপাশের গ্রামে। আর যাতায়াতের পথে অতিক্রম করতে হয় ইছামতি নদী। সারা বছর নৌকাতেই পার হতে হয় নদী। অধিকাংশ সময় নেকায় মাঝি থাকে না। ফলে নিজেদেরই পারাপারের কাজ সারতে হয়। এতে প্রচুর সময় অপচয়সহ নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয় দেওজি গ্রামের মানুষগুলোকে। বর্ষা মৌসুমে তাদের দুর্ভোগের সীমা-পরিসীমা থাকে না। ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। যাতায়াতের দুরবস্থার কারণে দেওজি গ্রামে কেউ ব্যবসায়িক কোনো লেনদেন করতেও আগ্রহী হন না। এইসব অসুবিধা দূর করতে ইছামতি নদীতে সেতু নির্মাণের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে আশু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাসুমা রুমা
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

পেনশন পরিশোধ প্রসঙ্গে
সরকারি পেনশনভোগীদের মাসিক পেনশন চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। পেনশনের চেক পাবার পর তা ব্যাংকে জমা দিতে হয় এবং সেই চেক ক্লিয়ার হবার পর আবার ব্যাংকে গিয়ে টাকা তুলতে হয়। এটা ষাটোর্ধ্ব পেনশনারদের জন্য খুবই কষ্টকর। অথচ ইএফটি (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার)-এর মাধ্যমে পেনশন সরাসরি পেনশনারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পরিশোধ করা হলে পেনশনারগণ বৃদ্ধ বয়সে শান্তি পাবেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
মো. আলী হায়দার, পল্লবী, ঢাকা।

বানান ভুল
সোনালী ব্যাংকের আগারগাঁও শাখায় পাসপোর্টের ফি গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট দুটো কাউন্টারের নামফলকে ‘পার্সপোট ফি গ্রহণ’ এ বাক্যে দুটি ভুল লক্ষণীয়- ‘পার্সপোট’ এবং ‘গ্রহন’। ব্যাংকে ঢোকার সিঁড়ির মুখে একটি ব্যানারে লেখা- ‘পার্সপোট ফি জমা দেবার লাল ভাউচার’। কাউন্টার দুটিতে দন্ত্য-স এর ওপর রেফ দিয়ে ‘পার্সপোট’ এবং ব্যানারে দ্বিতীয় ‘প’-এ রেফ দিয়ে ‘পাসর্পোট’ বানানে এমন শব্দ কে আবিষ্কার করল সেটাই জিজ্ঞাসা। ব্যানারের বাক্যটিতেও ‘পাসপোর্টের ফি জমা দেবার লাল ভাউটার’ লেখা হয়নি। ণত্ব বিধানের রীতি মেনে মূর্ধন্য ণ-এ যে গ্রহণ তা না লিখে দন্ত্য ন-এর গ্রহন বাংলা অভিধানের কোথায়ও পাওয়া যাবে না। এমন শব্দ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোথায় পেলেন তাই জিজ্ঞাসা। আর পাসপোর্টের ফি জমা নেবার জন্য লাল ভাউচার থেকে শুরু করে কাউন্টার ফি  জমা নেয়া পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই এমন ভুল বাংলায় লেখা সত্যিই লজ্জাকর একটি ব্যাপার। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন এই যে, অবিলম্বে পাসপোর্ট ও গ্রহণ-এ শব্দ দুটি শুদ্ধ করে লিখুন।
শামসুল করীম খোকন, তেজগাঁও, ঢাকা।

ফুটওভারব্রিজ চাই
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সবকটি গেটই একমুখী। প্রত্যেকটি গেটের সামনে দিয়ে চলে গেছে হাইওয়ে সড়ক। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছাত্রছাত্রীসহ অনেক মানুষ যাতায়াত করে থাকে। আর ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে হয়। ফলে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। মহাসড়ক হওয়ার কারণে সবসময় যানবাহন চলাচল করে। এ অবস্থায় রাস্তা পারাপারের ঝুঁকি দূর করতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ফুটওভারব্রিজ তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. আবু তাহের মিয়া
শিক্ষার্থী, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর।

প্রতিবন্ধীবান্ধব মাঠ চাই
প্রতিবন্ধী শিশুরা নানা রকম কাজ করার ক্ষমতা নিয়েই জন্মায়। সে সব ক্ষমতা তার ভেতরে থাকে সম্ভাবনা হিসেবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলে সেগুলোর বিকাশ ঘটে। আমাদের এই বিশেষ শিশুদের যাওয়ার তেমন কোনো জায়গা নেই। স্বাধীনভাবে খেলার কোনো মাঠ নেই। ইটপাথরের তৈরি চার দেয়ালের মধ্যেই তাদের জীবন কাটাতে হয় অথচ এই বিশেষ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে, সুস্থ সবল জাতি গঠনে এবং সর্বোপরি সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে পার্ক, খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানের ভূমিকা অতুলনীয়। আমাদের দেশে পার্ক, খেলাার মাঠ ও উন্মুক্ত স্থানগুলোতে প্রতিবন্ধীবান্ধব কোনো অবকাঠামো নেই। যেখানে মাঠ আছে সেখানেও অনেক ক্ষেত্রে খেলাধুলার সুযোগ নেই। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শহরে কিছু মাঠ আছে, সেখানে প্রতিবন্ধীদের নানা রকমের প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়।
স্বাস্থ্য ও মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা দরকারি। আমাদের নগরসমূহে যে সব পার্ক ও খেলার মাঠ রয়েছে, সেগুলো অপ্রতিবন্ধী শিশু-কিশোর ও বয়স্কদের দখলে।  ফলে বিশেষ শিশুরা মাঠে খেলতে গেলে অনেক সময় অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হাসি-তামাশার পাত্র হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে নানান বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বিশেষ শিশুর অভিভাবকদের।
সমাজের সর্বস্তরে মানুষের বন্ধুত্বসুলভ আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির সান্নিধ্যে প্রতিটি প্রতিবন্ধী শিশুর নিশ্চিত হোক স্বাভাবিক জীবন। বিশেষ শিশু-কিশোরদের জন্য চাই সমাজে আরো সচেতনতা।
আমরা জানি, আমাদের বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। তাই একজন অটিষ্টিক সন্তানের ভুক্তভোগী অভিভাবক হিসাবে সরকারের কাছে আকুল আবেদন এই যে, সিটি করপোরেশনের খাস জমিকে বিশেষ শিশু-কিশোর তথা প্রতিবন্ধীবান্ধব মাঠ হিসেবে রাখা হোক।
জেবুননেছা বেগম জলি
মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন