বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হিরো আলম। ঝামেলায় পড়েছেন উপহারের গাড়ি নিয়ে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি বলেছেন, ‘উপহারের গাড়ি নিয়ে পড়েছি গ্যাঁড়াকলে।’ তাঁর দাবি, উপহারের গাড়ি হস্তান্তরের আগে উপহারদাতা শিক্ষক গাড়িটি ফিটনেস বিহীন ও ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি জানাননি তাঁকে। আর হবিগঞ্জে গাড়ি হস্তান্তরের সময় মানুষের ভিড়ের কারণে দেখার সুযোগ হয়নি কাগজপত্র তাঁর। তবে উপহারের গাড়ি ফেরত দেবেন না বলে জানিয়ে হিরো আলম লেন, ‘গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে যত জটিলতাই হোক, উপহারের এই গাড়িটি ফেরত দিব না। কারন এতে ওই শিক্ষক অপমানিত হবেন। এখন গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে, তা খরচ করতে রাজি আছি। তবে যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া মওকুফ চেয়ে আবেদন করব বিআরটিএতে।’ হিরো আলম আরও বলেন, ‘দু-এক দিনের মধ্যে কোনোরকমে গাড়িটি বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে কাজ শুরু করব অ্যাম্বুলেন্স বানানোর । এর মাধ্যমে শুরু হবে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ।’
এদিকে, গাড়ির কাগজপত্র দেখে জানা গেছে, নোয়া ১৯৯৮ মডেলের উপহার পাওয়া গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৫ জুলাই ২০১৩ সালে। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চের পর থেকে বকেয়া আছে ওই গাড়ির ট্যাক্স। বর্তমানে ওই গাড়ির বিপরীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পাওনা প্রায় পাঁচ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়া এম মখলিছুর রহমান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। উপনির্বাচনের এক দিন আগে গত ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। উপহারের গাড়ি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহনে গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জে এসেছিলেন হিরো আলম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন