বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নোয়াখালীর সেনবাগের বিভিন্ন স্থানে উভয় পক্ষের নোতাকর্মিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বোমাবাজি ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ অর্ধশত রাউন্ড রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পুলিশ বিএনপির চারজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির পদযাত্রা ও আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকালে সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া বাজারে, ছমিরমুন্সিরহাট বাজারে, মোহাম্মদপুর ভ‚ঁইয়ারদিঘী ও ফকিরেরহাটের সন্নিকটে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের নোতাকর্মিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, বোমাবাজি ও ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
উপজেলার ছাতারপাইয়া ও ছমিরমুন্সিরহাট বাজারে উভয় দলের মিছিল পাল্টা মিছিল শুরু হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ছমিরমুন্সিরহাট বাজারের সেনবাগ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিকের শপিং কমপ্লেক্সে বিএনপি কর্মিরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও ক্ষতিসাধন করে। সন্ধ্যায় সেখানে লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিকের নেতৃত্বে একটি প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ভূইয়ারদিঘী ও কাবিলপুর ইউনিয়নের ছমিরমুন্সিরহাট হাটের বিএনপির পদযাত্রায় বিএনপির চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন। সকালে পুলিশের বাধা ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মিদের সাথে বাকবিন্ডার মধ্যে কেশারপাড় ইউনিয়নের কানকিরহাট বাজরের পদযাত্রায় বিএনপির অপর গ্রুপের নেতা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য আলহাজ কাজী মফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
যোগাযোগ করা হলে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বোমাবাজি, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় সময় পুলিশ ৫০ থেকে ৬০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি চুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় চার বিএনপি নেতাকর্মিকে আটক করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন