বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ত না হলে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল জানতে আগ্রহ রয়েছে সাধারণ নাগরিকের। খুলনায় বিরোধী দল-মতের প্রার্থী না থাকায় শেষ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ভোট পাচ্ছেন আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ। কয়েকজন চেয়ারম্যান-মেম্বরের প্রচার-প্রচারণা ও জেলার শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। বিরোধী দলের ও আ’লীগের বিদ্রোহী শক্ত প্রার্থী না থাকায় দলটির নেতৃবৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের পক্ষে ভোট প্রত্যাশা করে প্রচারণা ও তার সাথে একান্তে বৈঠক করেছেন বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ আশিকুজ্জামান। তিনি গেল ইউপি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন। শুধু বিএনপি নেতা আশিকুজ্জামান নয়; সরবে-নিরবে বিএনপিপন্থী উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বররা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদের পক্ষেই রয়েছেন। কেসিসি মেয়র, কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বর মিলে বিরোধী দলমতের ৩৩৭ ভোট পাচ্ছেন তিনি-ই।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা বলেন, নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। সুতরাং দলগতভাবে কাউকে ভোট দিতে নির্দেশনা দেয়ার প্রশ্নই আসে না। যদি কোনো জনপ্রতিনিধি তার এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কারো পক্ষে কাজ করেন, সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখানে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের কোনো দ্বায়ভার নেই।
সিটি মেয়র ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, আমাদের কোন নির্দিষ্ট প্রার্থী নেই। সুতরাং ভোট দেয়ার বিষয়ে আমরা কাউকে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করিনি। ভোটাররা নিজের ইচ্ছেমত ভোট দিতে পারবে।
খুলনা জেলার ৯৭০জন ভোটারের মধ্যে বড় অংশটি শেষ পর্যন্ত আ’লীগের বাইরে যোগ্য কোনো প্রার্থী না পাওয়ায় শেখ হারুনকেই বেছে নিয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী এলাকার উন্নয়নসহ নিজেদের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় এনে দলটির ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এ কৌশলকে বেছে নিয়েছে।
ভোটের বিষয়ে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, সব ভোটারদের সাথে কথা হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে তারা আমাকে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। এ ছাড়া বিরোধী দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথেও কথা হয়েছে। তারাও আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
খুলনায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তিনজন। এরমধ্যে জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ আ’লীগ সমর্থিত। এ ছাড়াও অপর দু’প্রার্থী হলেনÑ রূপসা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আলীগ নেতা শেখ আলী আকবর ও অজয় সরকার। আর ১৫টি সাধারণ সদস্য পদে ৫০ এবং পাঁচটি সংরক্ষিত আসনে ১৪ প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন।
খুলনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, জেলা পরিষদের প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকবে ২০ জন করে সদস্য। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে র্যাব। এ ছাড়াও থাকছে নির্বাচন কমিশনের ম্যাজিস্ট্রেট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন