ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মনির শেখ (৩৮) ১৭ বছর পালিয়ে ছিলেন বিভিন্ন স্থানে। পরিচয় আড়াল করে ছদ্মনামে বেঁচে নেন প্রতারণা মূলক নানা ধরনের পেশা। নকল স্বর্ণের কয়েন দেখানোসহ একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলেন তিনি। সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের বৃ-কাঁঠালিয়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী কামরুল হাসানকে নকল স্বর্ণের কয়েন দেখিয়ে প্রতারণা করতে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের একজন হলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মনির শেখ। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর উপজেলার নাওখন্ডা পূর্ব এলাকার আবুল কালাম শেখের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে একটি খুনের মামলায় আসামি হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন মনির শেখ। পরে ২০১৪ সালে ওই খুনের মামলায় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল তাকে ফাঁসির রায় দেন। ফাঁসির দন্ডাদেশ থাকা সত্বেও ওই আসামি তার প্রকৃত নাম গোপন করে বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন ভিন্ন নাম ধারণ করে একটির পর একটি প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী এলাকায় স্বর্ণের কয়েন দেখিয়ে প্রতারণা করার সময় সে গ্রেফতার হয়। এরপর তার স্বভাব চরিত্র যাচাইকালে তার প্রকৃত পরিচয় বের হয়ে আসে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান জানান, সুদীর্ঘ ১৭ বছর পালিয়ে থাকার পর অবশেষে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে আছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন