মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছে ছাত্রলীগ: ইউট্যাব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৪ পিএম

দেশের শিক্ষাঙ্গনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন খানের অনশনের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, স¤প্রতি ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়সহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাÐের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করছে। সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনে চরম নৈরাজ্য ও শিক্ষার্থী নিপীড়ন করছে ছাত্রলীগ। তারা সরকারি দলের প্রত্যক্ষ মদদে একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছে। চুরি, ছিনতাই, খুন সহ নানা ধরনের অন্যায় করলেও দোষিদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না। দেশজুড়ে ছাত্রলীগ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর একের পর এক যে নিপীড়ন আর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে তা রীতিমত মানবাধিকার লঙ্ঘন। এটি মেনে নেওয়া যায় না।

তারা বলেন, এসবের প্রতিকারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রফেসর যে অনশন শুরু করেছে তা যৌক্তিক। তবে শিক্ষক হিসেবে এ ধরনের অনশন করতে হবে এটা ভাবা যায় না। আমরা ছাত্রলীগের এহেন কর্মকাÐে ব্যথিত, ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন। এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্ব মনে করছি।

ইউট্যাব নেতৃদ্বয় বলেন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১২ ফেব্রæয়ারি রাতে শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত এক নবীন ছাত্রীকে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয় বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। একইদিন রাত ১০টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কৃষ্ণ রায় নামের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক ছাত্রকে হলকক্ষে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান ও হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। স¤প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেও ভিন্ন মতের চারজন শিক্ষার্থীকে রাতভর পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত একটি উচ্ছৃঙ্খল গ্রæপ।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগ যখন যা ইচ্ছা তাই করছে। চাঁদাবাজি করছে। শিক্ষার্থীদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করছে। দিনের পর দিন এটি ব্যাপকতা লাভ করছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। শিক্ষক সমাজ ও অভিভাবক এবং সচেতন নাগরিকরা মনে করে, দেশের উচ্চ বিদ্যাপীঠে এ ধরনের নৈরাজ্যকর ঘটনাগুলো জাতির জন্য খুব লজ্জার ও দু:খের। এসব বন্ধ করা উচিৎ।

তারা বলেন, সরকার ও দায়িত্বশীল যারা আছেন, তাদের এ বিষয়ে আরো কঠোর হওয়া দরকার। যারা অপরাধী ও দুষ্কৃতিকারী তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেনো, রাষ্ট্র ও আইনের উর্ধ্বে তারা নন। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের একটা সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা খুব জরুরি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন