শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষাঙ্গন

ঢাবি প্রফেসর ড. মোর্শেদের রিট খারিজ করায় ইউট্যাবের উদ্বেগ

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২২, ১:৩৯ পিএম

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব) এর মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. মোর্শেদ হাসান খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবাসিক বাসা ছাড়তে যে নোটিশ দিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউট্যাব। একইসাথে গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বাসা ছাড়ার নোটিশ স্থগিত চেয়ে প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খানের আবেদন আদালত কর্তৃক খারিজ করে দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

আজ বুধবার ইউট্যাব সভাপতি প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়- একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথাকথিত একটি লেখাকে কেন্দ্র করে প্রথমে ড. মোর্শেদ হাসান খানের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এমনকি ওই লেখায় শেখ মুজিবুর রহমানকে ' অবমাননা ' ও ' মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি'র মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি থেকে বেআইনীভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যে কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা সকলেই বিশ্বাস করে।

বিবৃতিতে বলা হয়- প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান চাকুরি ফিরে পাওয়ার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি আদালতে আবেদন করেছেন। তাকে চাকরি থেকে অপসারণের আদেশ কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিষয়টি এখনো বিচারাধীন। এরইমধ্যে বাসা ছাড়তে নোটিশ দেয়ার অর্থ হচ্ছে- অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান রাজনৈতিক প্রতিহিংসার টার্গেটে পরিণত হয়েছেন। কেননা চাকুরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর বর্তমান চরম সঙ্কটকালে অসুস্থ স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে প্রফেসর মোর্শেদ কোথায় গিয়ে আশ্রয় নিবেন? তার চাকুরি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি এখনো আদালতে বিচারাধীন। এমনই পরিস্থিতিতে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক বাসা ছাড়তে নোটিশ দেয়া অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য নজিরবিহীন এবং অমানবিক। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় কোনো বিচারাধীন বিষয়কে তোয়াক্কা না করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাসা ছাড়ার যে নোটিশ দিয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইউট্যাব মনে করে, বাংলাদেশের মানুষের আশা - ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল হচ্ছে দেশের আদালত। আমরাও মনে করি প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খান তার চাকুরি ফিরে পাওয়ার বিষয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার পাবেন। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি থাকবে অত্যন্ত মানবিক বিবেচনায় প্রফেসর মোর্শেদ হাসান খানের মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বাসা ছাড়ার নোটিশ প্রত্যাহার অথবা স্থগিত করা হোক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Kazi Md. Jamal Uddin ৬ জুলাই, ২০২২, ৩:১৩ পিএম says : 0
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথাকথিত একটি লেখাকে কেন্দ্র করে প্রথমে ড. মোর্শেদ হাসান খানের বাকস্বাধীনতাকে হরণ করা হয়েছে। এমনকি ওই লেখায় শেখ মুজিবুর রহমানকে ' অবমাননা ' ও ' মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি'র মিথ্যা অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি থেকে বেআইনীভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত যে কেবল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা সকলেই বিশ্বাস করে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন