বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইউক্রেনের বিজয়ের ওপর বাজি রাখা ‘আত্মঘাতী’

মার্কিন তদন্তকারী সাংবাদিক হার্শের বিশ্বাস রাশিয়াকে ধ্বংস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পশ্চিমারা : ক্রেমলিন কোনো মিত্র ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিলে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কনসোর্টিয়াম নিউজ পোর্টালের সাথে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন অনুসন্ধানী সাংবাদিক সেমুর হার্শ বলেছেন, রাশিয়ার সাথে সঙ্ঘাতে মার্কিন প্রশাসনের ইউক্রেনের বিজয়ের আশা ‘আত্মঘাতী’।
‘এটা চিন্তা করা আত্মঘাতী ছিল যে, আপনি সেই যুদ্ধে জিততে পারবেন, ইউক্রেন সেই যুদ্ধে জিততে পারবে। সেখানে খুব বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এটি একটি খুব, খুব খারাপ সিদ্ধান্ত ছিল। আমাদের শান্তির জন্য চাপ দেয়া উচিত ছিল, আমাদের একটি চুক্তি করা উচিত ছিল’ বলেছেন হার্শ, যিনি এর আগে রাশিয়ার নর্ড স্ট্রিম এবং নর্ড স্ট্রিম ২ পাইপলাইনকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরণের বিষয়ে তার ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন।

তিনি বলেন, ‘রুশ সরকারকে এখনই আশ্বস্ত না করা নিছক বোকামি যে, আমরা ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করতে আগ্রহী নই। দুর্নীতির কারণে ন্যাটো যেভাবেই হোক ইউক্রেনকে চায়নি। সেখানে অনেক খারাপ ভুল হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা অসম্ভব। এ নেতৃত্ব কতটা নির্বোধ ছিল এবং তারপরে তারা যুদ্ধে লেগে থাকে’।

সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে হার্শ গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি নিবন্ধে লিখেছিলেন যে, ইউএস নৌবাহিনীর ডুবুরিরা ২০২২ সালের জুনে বাল্টপস অনুশীলনের আড়ালে নর্ড স্ট্রিম ১ এবং ২ গ্যাস পাইপলাইনের নিচে বিস্ফোরক ডিভাইস স্থাপন করে এবং নরওয়েজিয়ানরা তিন মাস পরে বোমাগুলো সক্রিয় করে। সাংবাদিকের মতে, হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সাথে নয় মাস আলোচনার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে অপারেশন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন তাস-কে দেয়া এক মন্তব্যে বলেছেন যে, হার্শের অ্যাকাউন্ট সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সম্পূর্ণ কল্পকাহিনী।

রাশিয়াকে ধ্বংস করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পশ্চিমারা - ক্রেমলিন : ইউক্রেনে রুশ হামলার এক বছর হতে আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এমন সময় পশ্চিমা শক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া বক্তব্য দিলেন জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেঞ্জিয়া। গত শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন নেবেঞ্জিয়া। তিনি বলেন, দেশরক্ষা ব্যতীত আমাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই। নিজেদের পরিচয় আর ভবিষ্যৎ রক্ষা করাই মস্কোর লক্ষ্য। বৈঠকে মিনস্ক চুক্তি ভঙ্গের জন্য ইউক্রেনকে দোষারোপ করেন নেবেঞ্জিয়া। একইসঙ্গে ফ্রান্স ও জার্মানিসহ পশ্চিমাদের ওপরও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ করেন ভ্যাসিলি নেবেঞ্জিয়া। তার দাবি, পশ্চিমারা মস্কোকে ধ্বংস করে দিতে চায়।

প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানকে অযৌক্তিক ও মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘে ফ্রান্সের প্রতিনিধি। তিনি রাশিয়ার এ যুদ্ধকে ঘৃণিত আখ্যা দিয়েছেন। গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এখনও চলছে এ অভিযান। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অস্ত্র ও অর্থসহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
ইউক্রেনে যুদ্ধবিমান হস্তান্তরে মিত্রদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র : হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের সমন্বয়ক জন কিরবি শুক্রবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের কেউ যদি ইউক্রেনের কাছে যুদ্ধবিমান হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ওয়াশিংটন সেটাকে স্বাগত জানাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কখনই অন্য অংশীদারকে নির্দেশ করিনি যে, তারা [কিয়েভকে] কী দিতে পারে বা দিতে পারে না’। ‘যদি আমাদের মিত্র এবং অংশীদারদের কেউ ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট দিতে চায় আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব’।

ইউক্রেনে মার্কিন ফাইটার জেট সরবরাহের সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, কিরবি উত্তর দেন যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতোমধ্যেই এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্ট যা বলেছেন তার সাথে যোগ করার কিছু নেই।

পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকির সর্বশেষ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য এসেছে যে, দেশটি অন্যান্য ন্যাটো দেশগুলোর সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ইউক্রেনে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। তবে, মোরাউইকি বলেন যে, ওয়ারশ তার এফ-১৬ বিমান ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করতে প্রস্তুত নয়, কারণ তাদের সীমিত সংখ্যক রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৩১ জানুয়ারি বলেছেন যে, ওয়াশিংটন কিয়েভ সরকারের কাছে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করবে না। সূত্র : তাস, আলজাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Ruhany aktar ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৪৩ এএম says : 0
রাশিয়ার উচিত পুরো ইউক্রেনকে শেষ করে দেওয়া
Total Reply(0)
Mostofa Sajjad Hassan ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১২ এএম says : 0
নিশ্চিত পরাজয় হবে জেনেও। সামরিক এবং বেসামরিক লোকদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়াটা নিতান্তই বোকামি এবং ঘাউড়ামি। নিজের দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে নি এমন নেতাদের কারণেই আজ অনেক দেশ ধ্বংস হয়েছে
Total Reply(0)
Mohammad Ali ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১২ এএম says : 0
ন্যাটোর সাথে সাথে হাত মেলানোর খেসারত দিতে হচ্ছে।
Total Reply(0)
Eron Jaber ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১২ এএম says : 0
আমি একজন মুসলিম আমি ইউক্রেন জনসাধারণ এর কান্না দেখে মোটেও বিচলিত নই...! কারণ আমি ফিলিস্তিন,ইরাক, আফগানিস্তান,লিবিয়ান কাশ্মীর মায়ানমারে বৃদ্ধ নারী শিশুদের বিবস্ত্র আহাজারি দেখে দেখেই বড় হয়েছি....!
Total Reply(0)
MD Mithun Kazi ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১৩ এএম says : 0
আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না।
Total Reply(0)
Ahsan Habib Himu ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:১৩ এএম says : 0
নিজের স্বার্থের জন্য অন্যের প্ররোচনায় অন্যের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বিপদ টেনে এনে নিজ দেশের নিরপরাধ জনগনকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড় করিয়ে দেয়া রাষ্টীয় জোকারের আবার বীরত্ব !!!
Total Reply(0)
Khondaker Shahjahan ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৫ পিএম says : 0
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধটি আমি প্রথম থেকেই লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেছি। আমার কাছে প্রতিয়মান হয়েছে এ যুদ্ধ নিয়ে সিএনএন ও বিবিসি সহ পশ্চিমা সংবাদ মাাধ্যমসমূহ বহু বানোয়াট মিথ্যাচার ছড়িয়েছে এবং চিরজনমের মতো নিরপেক্ষ জনতার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। রাশিয়া একটি অপরিসীম সম্পদশালী দেশ। সমরাস্ত্র উতপাদনে তাদের ঘাটতি হওয়ার কোন আশংকা নেই। পক্ষান্তরে এ সমস্যা পশ্চিমাদের আছে।কারন তারা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত নয়। ইউক্রেন বর্তমানে যে আর্টিলারি গোলার ক্রাইসিসে পড়েছে তা ওভারকাম করা প্রায় দুঃসাধ্য। ফলে রাশিয়ার এ যুদ্ধটি জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
Total Reply(0)
Khondaker Shahjahan ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৭:৩৫ পিএম says : 0
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধটি আমি প্রথম থেকেই লক্ষ্য করছি, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখেছি। আমার কাছে প্রতিয়মান হয়েছে এ যুদ্ধ নিয়ে সিএনএন ও বিবিসি সহ পশ্চিমা সংবাদ মাাধ্যমসমূহ বহু বানোয়াট মিথ্যাচার ছড়িয়েছে এবং চিরজনমের মতো নিরপেক্ষ জনতার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। রাশিয়া একটি অপরিসীম সম্পদশালী দেশ। সমরাস্ত্র উতপাদনে তাদের ঘাটতি হওয়ার কোন আশংকা নেই। পক্ষান্তরে এ সমস্যা পশ্চিমাদের আছে।কারন তারা সরাসরি যুদ্ধে জড়িত নয়। ইউক্রেন বর্তমানে যে আর্টিলারি গোলার ক্রাইসিসে পড়েছে তা ওভারকাম করা প্রায় দুঃসাধ্য। ফলে রাশিয়ার এ যুদ্ধটি জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন