আয়েশা ছিদ্দিকা রুমা ওরফে জারা ( ২৩)। ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ১ম বর্ষের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রী। সে এবং তার পরিবার মিলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পথে ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে এসে পড়ালেখার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করে। বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২। শনিবার রাতে রাজধানীর আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার সকালে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এসব তথ্য জানায়।
রাজধানীর আদাবর এলাকায় একটি নারী মাদক কারবারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
তিনি জানান, র্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার টেকনাফ থেকে মাদকের একটি বড় চালান ঢাকায় নিয়ে এসে নিজ ভাড়া বাসায় রেখে খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করছে এক নারী। এমন তথ্যর ভিত্তিতে আদাবর থানার শেখেরটেক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি আয়েশা ছিদ্দিকা রুমা ওরফে জারাকে (২৩) গ্রেপ্তার করে।
এএসপি শিহাব করিম জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে ইয়াবা সর্ম্পকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে কৌশলে এড়িয়ে যায়। গেলেও পরবর্তীতে অধিক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার কাছে ইয়াবা আছে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্যে রুমের ভেতর বিভিন্ন স্থানে বিশেষভাবে লুকিয়ে রাখা ২হাজার ৯০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, উদ্ধার করা ইয়াবার বর্তমান বাজার প্রায় আনুমানিক- ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির কাজে ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল ফোন ও দুইটি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানায়, সে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্মান ১ম বর্ষের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্রী। সে এবং তার পরিবার মিলে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পথে ইয়াবা ঢাকায় নিয়ে এসে পড়ালেখার আড়ালে ইয়াবা ব্যবসা করে। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায় হওয়ায় স্বল্প মূল্যে ইয়াবা কিনে রাজধানীতে বিক্রি করে।
শিহাব করিম বলেন, সে একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য এবং দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজার ও টেকনাফ থেকে রাজধানীতে মাদক নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে নিত্য নতুন বিশেষ বিশেষ পন্থা অবলম্বন করে। সে সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের ডিলার হিসেবেও কাজ করে। এই মাদক সে পরবর্তীতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে।
এছাড়াও গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাচাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত রাখবে বলেও জানায় র্যাবের এএসপি শিহাব করিম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন