বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

চট্টগ্রামের চার খাতে উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চান মেয়র

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০২৩, ৮:০২ পিএম

চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে জাপানের সহযোগিতা চাইলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

মেয়র বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত হওয়া বাংলাদেশ যে আজকে উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে- তা সম্ভব হয়েছে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য। বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নে জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে সহযোগিতা করে আসছে। কর্মগুণে বাংলাদেশের জনগণের মন জয় করেছে জাপান।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস্থ চসিক কার্যালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মেয়র রাষ্ট্রদুতের কাছে একথা বলেন।
চসিক মেয়র বলেন, “বর্তমানে পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষিতে জলবদ্ধতা, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আর অবকাঠামো এ চারটি খাতকে প্রাধান্য দিচ্ছি আমি। জাপান এ চারটি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পারে। জাপানের অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমি নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়তে চাই।”
মেয়রকে আশ্বস্ত করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন, জাইকার পাশাপাশি প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ মডেলে বিনিয়োগ করে জাপানি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারে। এজন্য জাপান সরকারের সর্বোচ্চ সহযোগিতাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।” বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিধারাকে বেগবান করতে- জাপান সবসময় সহযোগিতা করে আসছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে বাণিজ্য প্রসারে জাপান আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চট্টগ্রাম ও মীরসরাই ইপিজেডে জাপানের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ রয়েছে। জাপানের সবচেয়ে বড় কর্পোরেশনগুলোর একটি নিপ্পন স্টিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং আরো করতে আগ্রহী। বন্দর ও সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কাস্টমসহ প্রশাসনিক জটিলতা কমানো গেলে জাপানের বিনিয়োগের স্বর্গভূমি হতে পারে চট্টগ্রাম। এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। তাই ব্যবসাক্ষেত্রের বৈচিত্র আনয়নে জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশে ভারী শিল্পের বিকাশ ঘটাতে পারে।
উল্লেখ্য, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় সংক্রামক মেডিকেল বর্জ্য ধ্বংসে দেশের প্রথম ইনসিনারেটর প্ল্যান্ট বসিয়েছে চসিক- যা চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই প্ল্যান্টে দৈনিক পাঁচ টন মেডিকেল বর্জ্য পোড়ানো হচ্ছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি আজুমায়া কেনজি, কাওয়াই হিরোশি, জাপানের বৈদেশিক বাণিজ্য সংস্থা জেট্রোর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইয়োজি আন্দো আনন্দ এবং জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন