সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। অবশেষে সভা আহ্বান ডেকে সেই বির্তকের অবসান করতে যাচ্ছেন সিসিক মেয়র আরিফ। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে আগামী ১১ মার্চ সেই সভর ডাক দিয়েছেন তিনি। সিসিক জনসংযোগ শাখা থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয় আগামী ১১ মার্চ সকাল ১১টায় নগর ভবনে অনুষ্টিত হবে সভাটি।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কর্মকান্ড। এসব ক্ষেত্রে শহীদ মিনার ব্যবহারে কোনো ফি দিতে হয় না। সম্প্রতি সিটি করপোরেশন একটি সিদ্ধান্ত নেয়, যেটি বাস্তবায়ন হলে শহীদ মিনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে গোনতে হবে নির্দিষ্ট ফি। সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত না হলেও বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে। শহীদ মিনার ব্যবহারে ফি না বসাতে দাবি জানাচ্ছেন তারা।
সিসিকের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে অনেকে। গত ১ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সভাপতি সিরাজ আহমদ, সিপিবি জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা শাখার আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, বাসদ জেলা শাখার আহ্বায়ক আবু জাফর, সিপিবি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বাসদ জেলা শাখার সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পাল, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা শাখার সদস্য এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ শোয়েব, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সদস্য ডা. হরিধন দাশ প্রমুখ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শহীদ মিনার ব্যবহারে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।। তাদের অভিন্ন বক্তব্য ছিল, মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সাথে রয়েছে এ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক-অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের গভীর সম্পর্ক। তারা বলেন, শহীদ মিনার অর্থের বিনিময়ে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি একটি ‘উদ্ভট চিন্তা’। উদ্ভূত বিতর্কের প্রেক্ষিতে আগামী ১১ মার্চ সভা আহ্বান করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন