সিলেট থেকে ‘সরকার পতনের আন্দোলন’ শুরু করতে চান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। আজ সোমবার (৩০ মে) বিএনপির সভা থেকে এমন ঘোষণাও দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় জাঁদরেল এই নেতা। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে শোক র্যালি শেষে আয়োজিত সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানকালে সিসিক মেয়র ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের লক্ষ্যে আজ সিলেটের ছাত্র, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। শাহজালালের এই পূণ্যভূমি থেকে এই স্বৈরাচারী সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হলো। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের অবদানের কারণে আজ নতুন ইতিহাস রচনা করতে পেরেছি আমরা। শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ আমাদের এই শোক র্যালি, তিনি এমন একজন মানুষ যার বিরোধিতা করার যৌক্তিক ভাষা নাই। তাঁর বিরোধিতা যারা করে তারা শুধু অপপ্রচার করে আর চরিত্র হননের চেষ্টা করে। মিথ্যা রটনা করে। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শ ছিলো উৎপাদন ও জাতিকে একতাবদ্ধ করে উন্নয়নে শামিল করা। যারা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির বিরোধিতা করে, বিভাজন তৈরি করে তারা। জাতিকে বিভক্ত করে শাসন করার চেষ্টা করে, শোষণ করার চেষ্টা করে। ফলশ্রুতিতে জবাবদিহিতাহীন, ভোটারবিহীন সরকার সৃষ্টি হয়। মানুষের কাছে থেকে জবাবদিহিতা থেকে এ সরকার সরে এসেছে। মানুষের সম্মতির ভিত্তিতে তারা আসে নাই, তাই মানুষের আমানত লুট করে ক্ষমতা দখলদার হিসাবে বসে আছে তারা।
জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকালে সিলেট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে শোক র্যালি ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকাল সোয়া ৩টার দিকে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠ থেকে র্যালিটি বের হয়ে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা প্রদক্ষিণ করে আম্বরখানায় পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে অনুষ্ঠিত হয় এক পথসভা। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং জেলা-মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, কৃষকদল, ছাত্রদলসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী । র্যালিতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে দুপুর থেকেই সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী মিছিল সহকারে রেজিস্ট্রি মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন। পরে তারা একত্র হয়ে শোক র্যালি বের করেন। এদিকে, বিএনপির কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মহানগর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছিলো সতর্ক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন