বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : কলেজে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গে

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রায়শই সরকারি কলেজসমূহে শিক্ষক সংকটের খবর পাওয়া যায়। দৈনিক ইত্তেফাকে এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে গত ১৭ ডিসেম্বর। সাবজেক্টের বিপরীতে শিক্ষক সংকটের বিষয়টি এখানে যথার্থভাবেই তুলে ধরা হয়েছে। সারা দেশে সন্ধান করলে এমন তথ্য আরো পাওয়া যাবে। একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কলেজসমূহে শিক্ষকের পদ খালি থাকে। ফলে ব্যাহত হয় শিক্ষা। অনেকেই বিসিএস পরীক্ষায় নির্দিষ্ট সিলেবাস অনুসরণ করে অন্যান্য বিষয়সহ মাত্র দুইশ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষা দিয়েই বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাচ্ছেন। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্ববিষয়ে প্রথম শ্রেণি পেলেও অনেকেই শিক্ষক হতে পারেন না। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের প্রতি সম্মান রেখেও বলা যায় যে তাঁদের অনেকেই দ্বিতীয় শ্রেণি পেয়েও প্রথম শ্রেণি অর্জনকারীদের মতো পাঠদান করতে পারেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। শিক্ষক সংকট নিরসন এবং দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রথম শ্রেণির ডিগ্রিধারী কিংবা পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি কলেজসমূহে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে যেমন শিক্ষক সংকট দ্রুত সমাধান করা যাবে, তেমনি মেধাবীদের নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা যায়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষক নিয়োগ হলে সরকারি কলেজসমূহে বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে অসুবিধা কোথায়?
মো. কামরুজ্জামান
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

রৌমারী-রাজিবপুরের রাস্তা
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী-রাজিবপুর থানার ওপর একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয় বিটিভিতে কয়েকদিন আগে। সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- দেখানো হলেও দেখানো হয়নি রাস্তা। আর সমস্যাটা এখানেই। ঢাকা থেকে রৌমারী-রাজিবপুর যাওয়ার একটাই রাস্তা। যার দুরবস্থার কথা লিখে বোঝানো যাবে না। একটা বাস আসছে দেখলেই তার চলে যাবার জন্য অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকে ভ্যান, রিকশা এমনকি মোটরবাইকওয়ালাও। রাস্তার ইট সরে গিয়ে মাটি বের হয়েছে অধিকাংশ জায়গায়। যানবাহন চলাচল করে ঝুঁকি নিয়ে। অথচ কয়েক বছর হলো কোনো উন্নয়নই হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ফিরোজ আল-মামুন,
রৌমারী, কুড়িগ্রাম।

শিশুদের সামনে ধূমপান নয়
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ দেশে কতজন ধূমপায়ী আছেন তার পরিসংখ্যান আমার জানা নেই। কেউ যখন ধূমপান করেন তখন তার পাশের লোকটির স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। প্রায় সময় দেখি শিশুদের সামনে বড়দের ধূমপান করতে। অনেক সময় দেখেছি পিতা তার ছোট শিশুটিকে কোলে নিয়ে দোকানে গিয়ে সিগারেট কিনছেন, ধূমপান করছেন। কিন্তু তিনি কি একবারও ভাবেন সিগারেটের ধোঁয়া শিশুর কত ক্ষতি করছে? সিগারেটের ধোঁয়া থেকে মারাত্মক ক্ষতিকর বিষ শিশুদের শরীরে প্রবেশ করে। এতে শিশুরা নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। যারা শিক্ষিত ধূমপায়ী তারাও এই ব্যাপারে সচেতন নন। আবার অনেকেই নিজের শিশুটিকে দোকানে পাঠান সিগারেট কিনে আনতে। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। সন্তানের সামনে ধূমপান করলে বা সিগারেট কিনে আনতে বললে তার মনে ধূমপান সম্পর্কে একটি বিশেষ প্রভাব পড়ে। সে ভাবে সেও একদিন বড় হয়ে ধূমপান করবে। এইভাবে শিশু বড় হতে হতে ধূমপায়ী হয়ে ওঠে। সিগারেটের প্যাকেটে লেখা থাকে- ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।’ আমি মনে করি সিগারেটের প্যাকেটে আরো লেখা উচিত- ‘শিশুদের সামনে ধূমপান নয়’। সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনে শিশুদের সামনে ধূমপান না করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে আরো ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে।
মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, চট্টগ্রাম।

সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে
ঘরে ঘরে অশান্তির মূল কারণ হচ্ছে মাদকদ্রব্য। মাদকের কুফল সম্পর্কে বেশি বেশি প্রচারাভিযানের জন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। স্কুল-কলেজ, পাড়া-মহল্লার প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মাদকের কুফল সম্পর্কিত সাইনবোর্ড দেওয়া যেতে পারে। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মাদকবিরোধী সম্বলিত লেখা বিলি করা যায়। মসজিদের ঈমাম সাহেবরা মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে বয়ান করতে পারেন। সীমান্তের ওপার থেকে যেন কোনোভাবেই মাদকদ্রব্য দেশে আসতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আসুন আমরা সবাই মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে সচেতন হই। দেশ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসি।
মো. আনোয়ার হোসেন
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
শেরেবাংলানগর, ঢাকা-১২০৭।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন